এসব নাচে চীনের বিভিন্ন স্থানের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এ বৈচিত্র্য কেন? কারণ, এসব চিকিত্সাকর্মী এসেছেন চীনের বিভিন্ন স্থান থেকে। হ্যাঁ, তাঁরা চীনের বিভিন্ন জায়গা থেকে উহানে এসেছেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। গত শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত, গোটা চীন থেকে ২১৭টি চিকিত্সাদলের ২৫ হাজার ৬৩৩ জন সদস্য হুপেই প্রদেশে চিকিত্সাসেবা দিতে এসেছেন। এই সংখ্যা ২০০৮ সালে চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েন ছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পে ত্রাণকাজে নিয়োজিত চিকিত্সাকর্মীদের সংখ্যার চেয়ে বেশি। এই পর্যন্ত, উহানে অস্থায়ী হাসপাতালের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯টিতে।
ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এই প্রক্রিয়ায় কেউ জীবনের মর্যাদা বেশি উপলব্ধি করেছেন, যিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন। তারা চিকিত্সাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। টেলিভিশন বা ওয়েবসাইটে উহানের চিকিত্সাকর্মীদের দেখে মুগ্ধ চীনারা। বস্তুত, গোটা দেশের মানুষই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনো-না-কোনোভাবে রত। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত যেটুকু জয় এসেছে, তার কৃতিত্ব সকল চীনার। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)