নভেল করানোভাইরাস নিউমোনিয়া অর্থাৎ কোভিড-১৯ রোগের সর্বশেষ অবস্থা অনুযায়ী, সনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিশ্ব বেশ আশাবাদী।
তিনি বলেন, গেল কয়েক দিনে আমরা দেখেছি কোভিড-১৯-এর রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক সম্ভাবনা থাকলেও অল্প সময়ে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে বিশ্ব আশাবাদী।
অধ্যাপক স্টেফান মনে করেন, চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সারা বিশ্ব আগের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছে এবং এবার মহামারী শুরু হলে অনেক প্রস্তুতি নিতে পেরেছে। তাই তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন,
২০০৩ সালের সার্সের তুলনায়, আমরা অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এ মহামারী নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখেছে চীন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সারা বিশ্ব এ মহামারী প্রতিরোধে অংশ নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আশাবাদী।
অধ্যাপক স্টেফান বলেন, করোনাভাইরাস নানা রকমের। এর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাস শুধু সাধারণ সর্দি তৈরি করে। কিন্তু মানুষের চিন্তা খারাপ অবস্থা নিয়ে। তবে, ইতিহাস পর্যালোচনা করে আমরা বুঝি যে, রোগ সবসময় সর্বোচ্চ খারাপ অবস্থা সৃষ্টি করবে না। তিনি বলেন, মানুষের আতঙ্ক আমি বুঝতে পার। তবে, বিচলিত হওয়া এবং অতিরিক্ত প্রতিরোধব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই। তিনি বলেন, যখন আমি প্রথম এ রোগের কথা শুনি, আমি আবিষ্কার করি যে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই প্রবীণ মানুষ। আমিও চিন্তিত ছিলাম। আমি নিজেও একজন প্রবীণ। তারপর আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করেছি এবং মহামারী সম্পর্কিত যত বেশি তথ্য পাচ্ছিলাম, তত আশাবাদী হতে থাকি। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। আমরা জানি, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী হাজার, এমনকি লক্ষ মানুষ শীতকালীন ফ্লু-তে মারা যায়। তবে, মানুষ কিন্তু তাতে আতঙ্কিত হয়নি। এবার নভেল করানোভাইরাসের মহামারীর সঙ্গে সেই ফ্লু'র মিল আছে। পার্থক্য হলো, এটা কিছুটা গুরুতর।
পাশাপাশি, অধ্যাপক স্টেফান বলেন, নভেল করানোভাইরাসের পরিবর্তন হবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এটি মোকাবিলা করা উচিত। দৈনন্দিন জীবনে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এ করানোভাইরাস সম্ভবত রূপান্তর হবে। তবে, আমরা ভবিষ্যত সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারি না।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনাভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯। প্রথম টিকা ১৮ মাসের মধ্যে উদ্ভাবনের কথাও জানায়। দুই দিনব্যাপী নভেল করানোভাইরাস বিশ্ব গবেষণা ও নবায়ন ফোরাম ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী হবে না।