ফোনালাপে সি চিন পিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাহাথির চীনা জনগণের পুরানো বন্ধু। এ ফোনালাপের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ও চীনের প্রতি মৈত্রী প্রতিফলিত হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া প্রকোপের কারণে চীন-মালয়েশিয়া যোগাযোগ অস্থায়ীভাবে ব্যাহত হয়েছে। তবে দু'দেশের গভীর মৈত্রী ব্যাহত হবে না। দু'দেশ এনসিপি প্রতিরোধের পাশাপাশি 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে দু'দেশের জনগণের কল্যাণ করবে।
সি চিন পিং বলেন, এনসিপি প্রাদুর্ভাবের পর চীন সরকার দেশব্যাপী সবচেয়ে কঠোর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, এতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে এ ভাইরাসে মৃত্যুর হার কমে এসেছে এবং সুস্থতার হার অনেক বেড়েছে। চীন সরকার জনগণকে নিয়ে এ লড়াইয়ে জয়ী হবে এবং চীনা অর্থনীতির উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রাখবে বলে জোর দেন সি।
সি চিন পিং আরও বলেন, এনসিপি প্রতিরোধে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ শুধু চীনা মানুষ নয়, বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। চীন অব্যাহতভাবে মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে সহযোগিতা চালাবে।
ফোনালাপে মাহাথির মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে চীন সরকার ও জনগণের প্রতি এনসিপি প্রকোপে সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মালয়েশিয়া এনসিপি প্রতিরোধে চীনের ব্যাপক প্রচেষ্টা ও অগ্রগতির প্রশংসা করে। চীন একটি দায়িত্বশীল বড় দেশ হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য রক্ষায় নিজের অবদান রেখেছে। চীনের আন্তরিক বন্ধু হিসেবে মালয়েশিয়া চীনকে বেশকিছু চিকিৎসামগ্রী অনুদান দিয়েছে এবং অব্যাহতভাবে চীনকে সাহায্য করতে চায়।
(রুবি/তৌহিদ)