মহামারী মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার: আইএমএফ প্রেসিডেন্ট
  2020-02-13 17:21:08  cri

যুক্তরাষ্ট্র সময় গতকাল (বুধবার), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ওয়াশিংটনে চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, নভেল করানোভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে চীন।

জর্জিয়েভা বলেন, সংক্রামিত অঞ্চলের মানুষের খুব কঠিন সময় কাটছে এবং বর্তামানে প্রধান কাজ হলো মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা। আইএমএফ মনে করে চীন সরকার মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি বলেন, নভেল করানোভাইরাস নতুন ধরনের ভাইরাস। এ ভাইরাসের সংক্রমণ চীন ও বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ অবস্থায় যেরকম কঠোর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে মহামারী গুরুতর সেখানে চীন সরকার ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করেছে। যা খুব প্রশংসনীয় বলে মনে করে আইএমএফ। তিনি বলেন, (রে)

গুরুতর মহামারী অঞ্চলে চীন সরকার খুব দ্রুত ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় গণ-স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করেছে এবং মহামারীর প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চীনের যোগাযোগ ও তথ্যের স্বচ্ছতা জোরদারকে স্বাগত জানাই আমি। এভাবে চীন ও বিশ্বের জনগণ মহামারী সম্পর্কে আরও সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্য পাবে।

সম্প্রতি পিপলস ব্যাংক অফ চায়না যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার প্রশংসা করেন জর্জিয়েভা। তিনি মনে করেন, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। জর্জিয়েভা বলেন, মহামারী মোকাবিলায় চীন সরকারের যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। তবে, দেশটি অর্থনীতি উদ্দীপ্ত করার ব্যবস্থা নেয়নি। এ আচরণ উপযুক্ত বলে মনে করে আইএমএফ। মহামারী শেষ হলে বিস্তারিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত্।

জর্জিয়েভা আরও বলেন, চীনের সিদ্ধান্ত চীন ও বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং একে গুরুত্ব দেয় আইএমএফ। যে কোনও পদ্ধতিতে চীনকে সহায়তা আইএমএফ সবসময় প্রস্তুত বলে জানান জর্জিয়েভা।

আইএমএফ প্রেসিডেন্ট বলেন, ছুটির পর চীনের কোম্পানিগুলো পুনরায় উত্পাদন শুরু করেছে। তিনি বলেন, এখন পূর্বাভাস দেওয়া সঠিক নয়। আমার মনে করি, চীনের অর্থনীতির ওপর মহামারীর প্রভাব হবে 'ভি' আকারের। অর্থাত্ প্রথমে অর্থনৈতিক তত্পরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে, তারপর দ্রুত ও কার্যকরভাবে পুনরুদ্ধার হবে। আমরা এক সপ্তাহ বা ১০ দিন পর আরও বেশি তথ্য পেলে চীনের অর্থনীতি নিয়ে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারব।

জর্জিয়েভা বলেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসার পর অর্থনীতি উদ্দীপ্ত করার ব্যবস্থা নিলে অর্থনীতির ওপর মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব কমে যাবে। তিনি বলেন, চীনের অর্থনীতির ওপর প্রভাব নির্ভর করে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর। অন্যদিকে, আরও লক্ষ্যপূর্ণ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে অর্থনীতি উন্নত করা উচিত্।

জর্জিয়েভা জোর দিয়ে বলেন, মানুষ এ মহামারীকে ২০০৩ সালের সার্সের সঙ্গে তুলনা করছে। তবে, নতুন এ ভাইরাস চীনের অর্থনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি ও অর্থনীতির বিশ্বায়নের সঙ্গে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। তাই এ মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব সাবধানে মূল্যায়ন করা উচিত্। তিনি বলেন, আগামীতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় জি-২০ অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পর্যায়ের সম্মেলনে আরও বেশি তথ্য জানানো হবে।

(শিশির/তৌহিদ)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040