সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো সশস্ত্র সংঘাতের টার্গেটে পরিণত হয়েছে এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা একটি দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অঞ্চলের ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক জোট হলো একমাত্র আন্তর্জাতিক সংস্থা যা সংঘাতময় অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছে এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মর্যাদা লাভ করেছে। এ আন্তর্জাতিক তহবিলটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা, জরুরি হস্তক্ষেপ ও বিরোধ-পরবর্তী নির্দিষ্ট পুনরুদ্ধার প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ সরবরাহ করছে। সংঘাতের জায়গাগুলিতে ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রচারের লক্ষ্যে, ভ্যালারি ফ্লেং সম্প্রতি বেইজিং এবং শি'আন সফর করেন। ন্যাশনাল ব্যুরো অফ কালচারাল রিলিক্স, জাতীয় জাদুঘর ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ বিশেষজ্ঞদের সাথে দেখা করেন তিনি। পরিদর্শনকালে ফ্লেং গণমাধ্যমকে বলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক জোটকে চীন দৃঢ় সমর্থন দেয় এবং সংগঠনটির বোর্ড ও বৈজ্ঞানিক কমিটিতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে, সংঘর্ষকবলিত অঞ্চলে ঐতিহ্য সংরক্ষণ জোটটি মোট ৪৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। আফগানিস্তান, ইরিত্রিয়া, ইরাক, লেবাননসহ ১৪টি দেশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তহবিল রয়েছে। জোটের প্রচেষ্টায় ইরাকের মসুল জাদুঘরে ভালোভাবে ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং মেরিটিম বাক্টুতে ৩,০০০টি ঐতিহাসিক পান্ডুলিপি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি, সংঘাতকবলিত অঞ্চলে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক জোট বেইজিংয়ে ঐতিহ্য সুরক্ষা প্রকল্প সংগ্রহের তৃতীয় দফার উদ্বোধন ঘোষণা করে। ফ্লেং বলেন, চীন ব্রোঞ্জ, চীনামাটির বাসন, মৃৎশিল্প পুনর্নির্মাণ এবং কাঠের কাঠামো, ইটের কাঠামো এবং বৌদ্ধ ভবনের পুনর্নির্মাণে অসামান্য দক্ষতা অর্জন করেছে। এতে সংঘাতজড়িত অঞ্চলে ঐতিহ্য রক্ষায় চীনা সাংস্কৃতিক সুরক্ষা সংস্থাগুলো এবং বিশেষজ্ঞরা আরও গভীরভাবে অংশ নিয়েছেন।
ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ব্যাপক ধ্বংস মোকাবিলার জন্য সুইজারল্যান্ডের জেনিভা শহরের কনফ্লিক্ট অঞ্চলগুলিতে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক জোট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চীন এ সংগঠনের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।