রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বেইজিংয়ের ৭৬টি কোম্পানি পুনরায় উৎপাদন শুরু করে। বাকি কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ আজ (সোমবার) উত্পাদন শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিগুলোর উত্পাদনে যাওয়ার হার ৯৫ শতাংশের বেশি। গতকাল (রোবার) বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া (এনসিপি) মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে, চায়না রেলওয়ে বেইজিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক ওয়াং ইউং বলেন, বেইজিংয়ে আসা সকল রেলযাত্রীর তাপমাত্রা মাপা হয়েছে ও হচ্ছে। তিনি বলেন (রে)
"আমাদের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে, যাত্রীর সংখ্যা ধাপে ধাপে কমে আসবে। মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হবার পর, সবার নিরাপত্তা রক্ষায় বেইজিংয়ে আসা সকল রেলযাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। এ পর্যন্ত বেইজিংয়ের সব রেলস্টেশনে মোট ৬৭ জন যাত্রীর অস্বাভাবিক তাপমাত্রা রিপোর্ট করা হয়েছে এবং তাদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য ও মহামারী নিরোধ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের আরও পরীক্ষা করা হয়।"
বেইজিংয়ের সব রেলস্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে ৩৭০টি তাপমাত্রা মাপন যন্ত্র। এর মধ্যে ১২টি ডোর থার্মোমিটার এবং ৮৮টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। কোনো যাত্রী এসব থার্মোমিটার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করলে তাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাপা হয়ে যায়। যাত্রীদের থামার দরকার নেই।
ক্যাপিটাল বিমানবন্দর গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং বেইজিং ক্যাপিটাল বিমানমন্দর লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক হান চি লিয়াং বিমান পরিবহনের তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, টার্মিনালের বায়ুচলাচল এবং জীবানুমুক্তকরণ কাজ জোরদার করার পাশাপাশি বেইজিংয়ে প্রবেশকারী বা বেইজিং থেকে বাইরে গমনকারী যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। তিনি বলেন
"বেইজিং ক্যাপিটাল বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে ৫২টি তাপমাত্রা মাপন স্টেশন এবং ৫৪টি তাপমাত্রা মাপন চ্যানেল। বেইজিং তাসিং বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে ২৩টি তাপমাত্রা মাপন স্টেশন ও ২৬টি তাপমাত্রা মাপন চ্যানেল। ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেইজিংয়ের দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোট ১৫ লাখ ৫৫ হাজার যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৮ জনের শরীরে জ্বর চিহ্নিত হয় এবং ৭৯ জনকে স্থানান্তর করা হয়। বিমানবন্দরে নিযুক্ত মেডিকাল স্টাফরা জ্বরে আক্রান্ত যাত্রীদের তাপমাত্রা আবার মাপেন করেন এবং তাদেরকে স্বতন্ত্র রাখেন। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদেরকে নির্দিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।"
বেইজিং বাস গ্রুপের মুখপাত্র ছাও ইয়ান জানান, বেইজিংয়ের সকল অ্যাম্বুলেন্স, ভ্রমণ বাস ও ট্রেন প্রতিদিন দু'বার জীবাণুমুক্ত করা হয়। তিনি বলেন
"আসন, আর্মরেস্ট, কার্ড রিডারসহ যেসব স্থানে যাত্রীদের স্পর্শ লাগে, সেসব স্থান জীবাণুমুক্ত করা হয়। তা ছাড়া, রেলস্টেশন, দূরপাল্লার বাসের স্টেশন অতিক্রমকারী বাসগুলোও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের ব্যবস্থাপনায় ৭০৮টি বাস টার্মিনাল প্রতিদিন ৫ বার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। আমাদের অফিসও প্রতিদিন ৩ বার জীবাণুমুক্ত করা হয়।"
বেইজিং সাবওয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বেইজিংয়ের সব সাবওয়ে স্টেশন ও ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে নিয়মিত। স্টেশনের বায়ুচলাচলব্যবস্থা ১০০ শতাংশ নিরাপদ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টেশন এবং ট্রেনে যাত্রীর ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সকল যাত্রীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। (শিশির/আলিম)