ফেব্রুয়ারি ৭: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ (শুক্রবার) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফো্নে কথা বলেন। এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, মহামরীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী হবার ব্যাপারে চীন সম্পূর্ণভাবে আত্মবিশ্বাসী। দীর্ঘমেয়াদে চীনের অর্থনীতিতে সুষ্ঠ উন্নয়নের ধারা পরিবর্তন হবে না।
এদিন নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে যে, ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হওয়ার পর চীনের অর্থনীতি আবারও চাঙ্গা হবে। দীর্ঘমেয়াদে মহামারী চীনের অর্থনীতিতে উচ্চ গুণগত প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
বস্তুত, সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির দিক্-নিদের্শনা অনুসারে চীনের বিভিন্ন বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি সিপিসির পলিট ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির এক সভায় সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, সুষ্ঠুভাবে মহামারী প্রতিরোধ করা সরাসরি জনগণের প্রাণের নিরাপত্তা ও সুস্থতার সাথে জড়িত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত, এবং চীনের উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার সাথেও জড়িত। দেশের অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং সব ধরনের জটিল ও কঠোর সমস্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখন একটি গুরুত্বপুর্ণ সময়। এসময় চীনের সরকার যথাযথ ধারাবাহিক আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত, চীনে মহামারী প্রতিরোধের জন্য মোট ৬৬৭৪ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নীতি মহামারীর বিরুদ্ধে বিজয়ের পর বিভিন্ন স্থানে স্বাভাবিক জীবন ও কাজ পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
অর্থনীতির ওপর মহামারীর কিছু নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও, চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি নষ্ট হবে না। চীন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়া্ইয়ে বিজয়ী হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষমতা রয়েছে চীনের জনগণের। (আকাশ/আলিম/সুবর্ণা)