প্রেসিডেন্ট সি বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের সরকার ও জনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করা যায়, ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং দীর্ঘমেয়াদে চীনের অর্থনীতিতেও উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে।
সি চিন পিং বলেন, চীনা জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি গোটা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে বেইজিং। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রেও চীন বরাবরই স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়ে আসছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, মহামারী বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বেইজিং। মার্কিন সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে চীনে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। বেইজিং এতে কৃতজ্ঞ। বর্তমানে, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই সন্ধিক্ষণে, সকল দেশকে অতিপ্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রও এ ক্ষেত্রে সংযম দেখাবে এবং মহামারীর বিরুদ্ধে যুক্তিযুক্ত প্রতিরোধমূক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে চীন আশা করে।
পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট সি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের প্রথম পর্যায়ের আর্থ-বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তি দু'দেশ ও বিশ্বের জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত হবে। দু'পক্ষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিন্তু পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতভেদ দূর করা সম্ভব।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনকে সাহায্য করতে ওয়াশিংটন একদল বিশেষজ্ঞ চীনে পাঠাবে। খুব কম সময়ে উহানে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণকে 'বিস্ময়কর' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এতে চীন সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্য প্রতিফলিত হয়। প্রেসিডেন্ট সি'র নেতৃত্বে চীনা জনগণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জয়ী হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, তিনি চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্যচুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। (সুবর্ণা/আলিম/আকাশ)