ব্রিটেন সফরকালে এমন হাস্যকর মন্তব্য করেন মাইক পম্পেও। এর মূল কারণ ব্রিটিশ সরকার চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েই-কে সে-দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নির্মাণে অনুমোদন দিয়েছে। গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অজুহাতে চীনের হাইটেক প্রযুক্তি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন ব্রিটিশ সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতেই পম্পেও এমন মন্তব্য করেন।
বস্তুত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শপথগ্রহণের পর থেকে চীনের বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি 'চীনের হুমকি তত্ত্ব' দিয়েছেন এবং চীনের হংকং, সিনচিয়াংসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন। পাশাপাশি উস্কানিমূলক বিভিন্ন মন্তব্য তো আছেই।
তবে চীনের সামাজিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। গত ৪০ বছরে ৮০ কোটি চীনা দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে সার্বিক ও কঠোর প্রতিরোধক-ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানুষকে কেন্দ্র করে এ ব্যবস্থায় কমিউনিটি থেকে গ্রাম পর্যন্ত মহামারী প্রতিরোধক নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়েছে। চীনের এ পদক্ষেপ শুধু স্বদেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য নয়, বরং বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তার স্বার্থে নিবেদিত।
বর্তমানে মহামারীর অবস্থা জটিল। তবে সকল চীনার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে এ প্রতিরোধযুদ্ধে জয় আসবে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। (সুবর্ণা/আলিম/আকাশ)