বলা বাহুল্য, ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের অতিপ্রতিক্রিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। মহামারী ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথেও মার্কিন সিদ্ধান্ত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপকে 'জরুরি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য সমস্যা' ঘোষণা করেছে। তবে সংস্থার মহাপরিচালক স্পষ্টভাবেই বলেছেন যে, এতে চীনের ওপর সংস্থার আস্থাহীনতা প্রকাশ পায় না। এ ঘোষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে, চিকিত্সা-ব্যবস্থায় দুর্বল দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সহায়তাপ্রাপ্তি সহজতর করা।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিত্সা-ব্যবস্থার অধিকারী হয়েও, অতিপ্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে অনেক দেশেই না-হক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকও এতে খুশি হননি। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যটন ও বাণিজ্যে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। মার্কিন গণমাধ্যমও সরকারের এমন আচরণের সমালোচনা করেছে।
বস্তুত, নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে একতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। ভাইরাস কোনো দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বা থাকবে না। তাই আন্তর্জাতিক সমাজকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন দেশ চীনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েও দিয়েছে। জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং জাপান, ইরান ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ চীনে শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ চিকিত্সাসামগ্রী পাঠিয়েছে। নতুন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চীন আজ একা নয়। মানবজাতি আজ বিশ্বায়নের যুগে পৌঁছেছে। এ যুগে অন্যকে সাহায্য করা মানে নিজেকে সাহায্য করা। (সুবর্ণা/আলিম/আকাশ)