তা ছাড়া, উহান শহরের তিনটি স্থানকে নিয়ে 'ফাং ছাং হাসপাতাল' এলাকা গড়ে উঠবে। এটির নির্মাণ শেষে আরও ৩৪০০টি চিকিৎসার বিছানা স্থাপন করা হবে। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমি এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
'হুয়াও শেন শান' বিশেষ হাসপাতালের উপ-প্রধান সু ডি সিউং বলেন, বাহিনীর ১৪০০জন চিকিৎসক এই হাসপাতালের নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রথম দফার ৪৫জন রোগী, তারা সবাই এই ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সাধারণ রোগী। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসাকক্ষ আরও সুসংহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হাসপাতালে আরও বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীদের ভর্তি করা হবে। বিশেষ করে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'সাধারণ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির মানদণ্ড অনুযায়ী, বিছানা ও চিকিৎসকের অনুপাত হচ্ছে ১:০.৪, বিছানা ও নার্সের অনুপাত হচ্ছে ১:০.৬। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের এই বিশেষ হাসপাতালের সাধারণ চিকিৎসাকক্ষ ছাড়া, আইসিইউ-এর অনুপাতও বেড়েছে। চিকিৎসক ও নার্সের সমন্বয়কাজ অনেক শক্তিশালী হয়েছে'।
জানা গেছে, নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বিছানা সমস্যা নিষ্পত্তি করেছে উহান কর্তৃপক্ষ। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য এবং বেইজিং 'তিথান' হাসপাতালের সংক্রামক রোগবিষয়ক দুই বিভাগের মহাপরিচালক ও চিকিৎসক চিয়াং রুং মেং বলেন, বর্তমান উহান আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র , 'হুং শান' স্টেডিয়াম ও উহান 'বাসার ঘর' এ তিনটি স্থানকে নিয়ে 'ফাং ছাং হাসপাতাল এলাকা' গড়ে উঠবে। এখানে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাথমিক অবস্থার রোগীদের ভর্তি করা হবে। এই তিনটি হাসপাতাল চালুর পর, ৩৪০০টি চিকিৎসার বিছানা সরবরাহ করা হবে। এভাবে রোগীদের সরাসরি তত্ত্বাবধান আরও বাড়ানো হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমাদের কাজ হবে ভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত নয়- এমন রোগীদের জন্য বিচ্ছিন্নরুমে বিশেষ চিকিৎসা সেবা দেওয়া। স্বল্পকালীন চিকিৎসা নেওয়ার পর, কেউ সুস্থ হলে সে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে পারবে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিছানার জন্য অপেক্ষা করা রোগীদের সময়ও বেঁচে যাবে।'
এবারের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিউক্লিক এসিড পরীক্ষায় রি-এজেন্ট বক্সের অভাবের কারণে চিয়াং রুং মেং বলেন, বর্তমান ১ লাখ মানুষের রি-এজেন্ট হাতে রয়েছে। পাশাপাশি, উহানের কিছু হাসপাতালে ৩ থেকে ৪ দিনের সময়সীমা কমিয়ে ১দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, উহান 'সিয়ে হ্য' হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল নিজস্বভাবে এই পরীক্ষার কাজ করতে পারে। এভাবেই বিভিন্ন নমুনা হাসপাতালে পাঠানো হয় ও অপেক্ষার সময় কমানোর ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'যারা নিজস্বভাবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিউক্লিক এসিড পরীক্ষায় কাজ করতে পারে, তাদের জন্য তৃতীয় পরীক্ষামূলক সংস্থায় যাওয়ার দরকার নেই। রোগীদের ভর্তি হওয়ার জন্য সুবিধাজনক।'
(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)