বন্ধুরা, বর্তমান চীনে অভিনব করোনা ভাইরাস ছাড়িয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সমাজ এতে গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। আমাদের অনেক শ্রোতাও ইমেলে আমাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। আসলে চীন সরকার সময়মতো প্রথম পর্যায়ের জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলো কার্যকর হচ্ছে। তাহলে আজকের অনুষ্ঠানে আমি শ্রোতাদের ইমেল পড়ার পাশাপাশি আপনাদেরকে করোনা ভাইরাসের অবস্থা সম্পর্কে জানাবো। এ ছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পদ্ধতি জানাবো।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দেবাশীষ গোপ ইমেলে লিখেছেন। .....
বন্ধু দেবাশীষ গোপ, আপনাকে আমাদের মনোযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু শ্রোতাদেরকে বর্তমান চীনে অবস্থা ও চীনের ব্যবস্থা নিয়ে পরিচয় করতে চাই। অভিনব করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার গতি খুব দ্রুত। এদিকে বর্তমানে চীনের বসন্ত উত্সবের যাতায়াতের সময় নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস ছাড়িয়ে পড়ছে। সেজন্য আক্রান্তের পরিমাণও বাড়ছে। এটি জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি হুমকি সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে উহান বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, গণ জমায়েতের কার্যক্রম বাতিল করেছে, বসন্ত উত্সবের ছুটি বাড়ানোসহ বিভিন্ন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়েছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটি অভিনব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কর্মগ্রুপের প্রধান লি খ্য ছিয়াং বসন্ত উত্সবের প্রথম দিনে উহান গিয়ে প্রতিরোধমূলক কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। এদিন লি খ্য ছিয়াং উহানে পৌঁছে সময়মতো সবচেয়ে বেশি রোগী ও গুরুতর রোগীর চিকিত্সায় ব্যবহৃত উহান জিনইনথান হাসপাতালে যান। তিনি আইসিইউ ওয়ার্ডের চিকিত্সকদের সঙ্গে ভিডিও আলাপ করেন এবং সমগ্র চীন ও গণ-মুক্তিফৌজ থেকে উহানে এসে সহায়তাকারী চিকিত্সকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। লি খ্য ছিয়াং তাঁদেরকে সার্বিকভাবে রোগীদের চিকিত্সা করা এবং নিজের সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, চিকিত্সকরা জনগণকে আস্থা ও উত্সাহ দিতে পারে এবং দেশের মানুষ চিকিত্সকদের ধন্যবাদ জানায়। চিকিত্সকদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, গগলস ইত্যাদির স্থিতিশীল সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার কথা শোনার পর লি খ্য ছিয়াং অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মীদেরকে সময়মতো সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া তিনি সমগ্র চীন থেকে আরও বেশি চিকিত্সক ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উহানের চাহিদা মেটানোর জন্য নির্দেশনা দেন।
মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে চীন সফররত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম সাক্ষাত্ করেন। সাক্ষাতে তিনি বলেন, চীন উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে বিশ্বের কাছে করোনা ভাইরাসের তথ্য প্রকাশ করছে। চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে যৌথভাবে আঞ্চলিক ও বিশ্বের গণস্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষা করতে ইচ্ছুক। সাক্ষাত্কালে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, বর্তমানে চীনা জনগণ অভিনব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করছে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বরাবরই প্রথম স্থানে আছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা হলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমি নিজস্ব পরিচালনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় কর্মগ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে একীভূত নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা করছি। বিভিন্ন স্থানের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কাজে সমন্বয় করা হয়েছে। আমরা জনসাধারণের ওপর গভীরভাবে নির্ভর করছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা অবশ্যই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হবো। তেদ্রোস আধানম প্রথমে চীনের জনগণকে বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, অভিনব করোনা ভাইরাসের সম্মুখীন চীন সরকার দৃঢ় রাজনৈতিক আস্থা প্রদর্শন করেছে এবং শক্তিশালী ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। এটি প্রশংসিত হয়েছে। চীন উন্মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে তথ্য প্রকাশ করছে, ভাইরাসের প্যাথোজেনগুলি আবিষ্কার করেছে এবং সময়মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করেছে। আমি বিশ্বাস করি, চীন অবশ্যই কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতায় অনেক গুরুত্ব দেয়। চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনের অভিনব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কাজে অংশ নিতে স্বাগত জানায়। বর্তমানে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা উহানে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করছেন। চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে আঞ্চলিক ও বিশ্বের গণস্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষা করতে ইচ্ছুক। তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সমাজ অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলক, ন্যায্য, শান্ত এবং অভিনব করোনা ভাইরাস নির্মূল করতে পারবে। চীনের ব্যবস্থা শুধু চীনা জনগণের জন্যই নয়; বরং, বিশ্ববাসীকেও রক্ষা করবে। আমি চীনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বন্ধুরা, আমাদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের আস্থা ও সমর্থন আছে। বর্তমানে চীনে বাংলাদেশের মানুষরা ভাল আছেন। উদ্বেগ হবে না।
তিনি একটি প্রশ্ন করেন। ....
এখন আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। আপনার লেখা চন্দ্র মাস ঠিক না। আসলে চীনে বলা হয়, নংলি মানে চান্দ্রপঞ্জিকা। চীনা চান্দ্রপঞ্জিকার প্রথম মাস হিসেবে পরিচিত চেংইউয়ে অর্থাত্ চেং মাস। চেং মাসের প্রথম দিন হলো বসন্ত উত্সবের প্রথম দিন। চান্দ্রপঞ্জিকা হলো চীনের ঐতিহ্যবাহী ক্যালেন্ডার। নংলি ছাড়া হুয়ালি, স্যিয়ালি, হানলি বা চংলি বলা হয়। চান্দ্রপঞ্জিকা চাঁদের পরিবর্তন অনুযায়ী বিন্যাস করা হয়। আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনাকে নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শোনার জন্যও ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম ইমেলে লিখেছেন, বর্তমানে সিআরআই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান বেতারসহ সকল আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শ্রোতাদের চাহিদা পুরণ করে চলেছে। ইন্টারনেট ওয়েবসাইট, মাঝে মাঝে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেও বাংলা বিভাগ র্পৌছে গেছে শ্রোতাদের খুব কাছাকাছি। সিআরআই বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে বেতারে প্রচারিত বেশ কিছু অনুষ্ঠানের অডিও ফাইল এখন নিয়মিত সংযুক্ত করা হচ্ছে যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে সিআরআই বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে পুরাতন বেশ কিছু তথ্য দীর্ঘদিন যাবত্ রয়েছে যা আপডেট করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। শ্রোতারা যাতে বেতার অনুষ্ঠান আরো সুবিধাজনকভাবে শুনতে পান সে জন্য সিআরআই বাংলা বিভাগ একটি এ্যাপ চালু করলে খুব ভাল হয়। কারণ এ্যাপে অনুষ্ঠানগুলো সংরক্ষিত হলে শ্রোতারা তাদের সুবিধামত পছন্দের অনুষ্ঠানগুলো যে কোন সময় খুব সহজেই শুনতে সক্ষম হবেন বলে আমার বিশ্বাস! এছাড়াও CRIbangla ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান বিশেষ করে খবর এবং সংবাদ পর্যালোচনা এবং বিশেষ অনুষ্ঠানগুলো লাইভ সম্প্রচার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সুখের কথা ইতোমধ্যে সে ধারাটা শুরু হয়ে গেছে! ধন্যবাদ। বর্তমানে বাংলা বিভাগ থেকে প্রচারিত খবর, সংবাদ পর্যালোচনা আজকের টপিক, নিয়মিত ঢাকা সংবাদদাতা মাহমুদ হাশিমের প্রতিবেদন, মুক্তার কথা, রোববারের আলাপন, স্মরণীয় বরণীয়, গল্পের আসর, বিদ্যাবার্তা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, জীবন যেমন, চলুন বেড়িয়ে আসি, পূবের জানালা, চীনা ভাষা শিক্ষার আসর, সুর ও বাণী, সুরের ধারায়, তোমার জন্য গান, ইত্যাদি অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত উপভোগ করছি যা খুবই ভাল লাগছে। তোমার জন্য গান অনুষ্ঠানে প্রচারিত পুরাতন ও আধুনিক বাংলা গানগুলো শ্রোতাদের বিনোদন দিতে সক্ষম হচ্ছে। সিআরআইয়ের বর্তমান অনুষ্ঠান প্রচার কাঠামো যুগোপযোগী, আকর্ষণীয়, তথ্যবহুল ও বেশ উপভোগ্য হচ্ছে। মেধা ও নিরলস শ্রম দিয়ে মানসম্মত ও যুগোপযোগী অনুষ্ঠান নির্মাণে যারা সিআরআইকে সমৃদ্ধ করছেন আমি সিআরআই বাংলা বিভাগের সেইসকল কর্মকর্তা/কলাকুশলীবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বর্তমান অনুষ্ঠান কাঠামোতে খেলাধুলা বিষয়ক নতুন একটি অনুষ্ঠান সংযুক্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। শ্রোতাদেরকে আরো চাঙ্গা করতে প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে একটি পুরস্কারমূলক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করার প্রস্তাব করছি। বর্তমানে মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের মতামত ভিত্তিক মোবাইল কনফারেন্স চালু করার অনুরোধ করছি। তা ছাড়া বিশেষ কোন ইভেন্টে শ্রোতাদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক টেলিফোন সাক্ষাৎকার গ্রহন করারও প্রস্তাব করছি। অনেকদিন হলো সিআরআই বাংলা বিভাগের উদ্যোগে বৃহৎ পরিসরে কোন শ্রোতা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়না। অনুষ্ঠান নিয়ে সিআরআই কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রোতাদের খোলামেলা আলোচনা ও দেখা সাক্ষাৎ এর গুরুত্ব অনেক। তাই অনুরোধ জানাচ্ছি ২০২০ সালে ঢাকায় বৃহৎ পরিসরে একটি শ্রোতা সম্মেলন আয়োজন করার।
বন্ধু আশরাফুর ইসলাম, আপনাকে নিয়মিত মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার মতামত আমরা অবশ্যই বিবেচনা করি। আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন আপডেট করা হয়। কিন্তু আমরা আরো সমৃদ্ধ অনুষ্ঠান ও ওয়েবসাইট আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাদিয়া জেলার ধীরেন বসাক ইমেলে লিখেছেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান মুক্তার কথা। আপনাদের সবাইকে জানাই চীনের বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা ভালোবাসা। আপনাদের অনুষ্ঠানের শুক্রবারের চলুন বেরিয়ে আসি অনুষ্ঠানে ১০ জানুয়ারি তারিখে চীনের হারবিনের ছুংফা মহা নদীর বরফ ও তুষার দৃশ্যের উপরে প্রতিবেদন এবং ১৭ জানুয়ারি তারিখে উত্তর চীনের ইউনান প্রদেশ এবং হাইনান প্রদেশের দর্শনীয় জায়গায় ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর অনুষ্ঠান প্রচার আমার বেশ ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন চীনে এ পর্যন্ত কয়জন ব্যক্তি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে ?
বন্ধু ধীরেন বসাক, আপনাকে নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শোনা এবং মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। এ পর্যন্ত মোট দু'জন চীনা মানুষ নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। একজন হলেন মো ইয়ান। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। আরেকজন হলেন থু ইয়ৌ ইয়ৌ। তিনি চিকিত্সায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
মো ইউয়ান চীনা ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্প লেখক। তবে, তিনি তার ডাক নাম মো ইয়ান নামেই সমধিক ও বৈশ্বিকভাবে পরিচিত হয়ে আছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম সাময়িকীতে ডোনাল্ড মরিশন নামীয় এক প্রতিবেদক তাকে সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বিশ্বব্যাপী চীনা গ্রন্থস্বত্ত্ব লঙ্ঘনকারী লেখকদের চেয়ে ব্যতিক্রমরূপে বর্ণনা করেছেন। তাকে ফ্রাঞ্জ কাফকা অথবা জোসেফ হেলারের চীনের প্রত্যুত্তর হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ১৯৫৫ সালে মো ইয়ান শানতুং প্রদেশের ডালন শহরের গাওমি কাউন্টিতে কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এ ডালন শহরকে তিনি তার উপন্যাসে নর্থ-ইস্ট টাউনশীপ নামে উল্লেখ করেছেন। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করে কারখানায় কাজ নেন। কারখানাটি পেট্রোলিয়াম উৎপাদনে ব্যবহৃত হতো। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মিতে যোগ দেন। সৈনিকজীবন শুরুর পর তিনি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত একাধারে লিখতে থাকেন। তিন বছর পর তিনি সেনাবাহিনীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগে শিক্ষকতার পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৯১ সালে বেইজিং নর্মাল ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মো ইয়ান শব্দগুচ্ছের চীনা ভাষায় অর্থ হচ্ছে কথা বলো না। এটি তার ডাক নাম। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি জিম লিচের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ নামকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন যে শৈশবে তার বাবা-মা ১৯৫০-এর দশকে চীনের রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ে বাইরে কোন কথা বলতেন না। পুনর্গঠন এবং জাগরণের সময়ে চীনা ভাষায় কয়েক ডজন ছোট গল্প এবং উপন্যাস প্রকাশের মাধ্যমে লেখক হিসেবে আবির্ভূত হন। তার প্রথম উপন্যাস 'ফলিং রেইন অন এ স্প্রিং নাইট' ১৯৮১ সালে প্রকাশ করেন। অনেক উপন্যাসই পূর্ব এশিয়ান ভাষাবিশারদ ও নটরড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাওয়ার্ড গোল্ডব্লাটের সহায়তায় ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়।
এখন থু ইয়ৌ ইয়ৌ'র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো।
২০১৫ সালে ১০ ডিসেম্বর চীনের চীনা মেডিসেন বিজ্ঞান একাডিমির প্রধান বিজ্ঞানী। চীনের বিখ্যাত্ নারী ফার্মাসিস্ট। থু ইয়ো ইয়ো ভেষজ ওষুধ থেকে ম্যালেরিয়া চিকিত্সার উপাদান আবিস্কারের জন্য চলতি বছর চিকিত্সা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি চীনের বার্ষিকী সর্বোচ্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বরে তিনি সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের সংস্কার অগ্রণীর মর্যাদা লাভ করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে ফোর্বস চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শ্রেষ্ঠ ৫০জন নারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের এ অনুষ্ঠান আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান।
আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি, ই-মেইল অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com..cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন।
(মুক্তা/তৌহিদ/তুহিনা)