সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গতকাল (সোমবার) চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি'র কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো আয়োজিত সম্মেলনে নতুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরবর্তী ধাপের গবেষণা নিয়ে কথা হয়। সম্মেলনে বলা হয়, এবারের করোনা ভাইরাস হলো চীনের ব্যবস্থা ও সামর্থ্যের পরীক্ষা। বর্তমানে প্রতিরোধমূলক কাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো রোগীদের উদ্ধার, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সামগ্রী সরবরাহ, চিকিৎসা ও নিরাময়ের হার বাড়ানো এবং সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমানো। পাশাপাশি সম্মেলনে সবজি, মাংস, খাদ্যশস্য, ডিম ও দুধসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয় নীতিগত সুবিধা হলো একটি দেশের বৃহত্তম সুবিধা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনা সমাজতান্ত্রিক সুবিধা কাজে লাগানো হচ্ছে। জনগণের ওপর নির্ভর করা, বিজ্ঞানসম্মতভাবে রোগ প্রতিরোধ করা এবং ভাইরাস-মুক্তকরণের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বর্তমানে অভিনব করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। আরও অনেক সমস্যা সমন্বিতভাবে সমাধান করা উচিত। এ সম্পর্কে জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কাঠামো পূর্ণাঙ্গ করা, কঠিন ও জরুরি সমস্যা সমাধানের সামর্থ্য বাড়ানো, গণস্বাস্থ্য ও পরিবেশ পুরোপুরি তদন্ত ও সংশোধন, বাজার পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান জোরদার করা, আইনগত নির্মাণ জোরদার করা, মজুদ বাড়ানো এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস উৎপাদনের সামর্থ্য বাড়ানো উচিত।
চীন অভিনব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেরক্ষেত্রে সমস্যা সঠিকভাবে উপলব্ধি ও বিশ্লেষণ করছে। দায়িত্ব বেশি হলেও নীতিগত সুবিধা দিয়ে, জনগণের ওপর নির্ভর করে চীন অবশ্যই এ ভাইরাস প্রতিরোধের যুদ্ধে জয়ী হবে।
(ছাই/তৌহিদ/আকাশ)