নতুন করোনা ভাইরাসজনিত গুরুতর সংকটাপন্ন হুপেই প্রদেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের পোশাক ও প্রয়োজনীয় এন৯৫ মাস্কসহ বিভিন্ন প্রতিরোধক জিনিস সম্পর্কে হুয়াং লি পিন বলেন, 'গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত হুপেই প্রদেশে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার চিকিৎসা-সংক্রান্ত পোশাক এবং ১ লাখ ৩৪ হাজার এন৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছে চীনের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। এতে ১ লাখ ১৭ হাজার পোশাক ও ১ লাখ ১০ হাজার এন৯৫ মাস্ক হুপেই প্রদেশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি চোখ প্রতিরোধক মাস্ক ও কিছু বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা ত্রাণ-সামগ্রীও পর্যায়ক্রমে উহানে পৌঁছেছে'।
তিনি বলেন, এসব জিনিস গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধক উপকরণ। নতুন করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরবরাহ কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বসন্ত উৎসবের ছুটির পর সংশ্লিষ্ট উৎপাদনমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজ পুনরায় শুরু করতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে চীনের শিল্প ও তথ্যায়ন মন্ত্রণালয়। গত শনিবার পর্যন্ত, চিকিৎসা-সংক্রান্ত পোশাক উৎপাদনের দৈনন্দিন পরিমাণ ২০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারির পরিমাণের চেয়ে ২গুণ বেশি। পাশাপাশি, মাস্ক তৈরির দক্ষতাও ৬০ শতাংশে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, চিকিৎসা-সংক্রান্ত ত্রাণ-সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরও ৪টি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ' প্রথমত, সমন্বয়কাজ জোরদার করার ব্যবস্থা আরও সুসংহত করা। দ্বিতীয়ত, গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ভালোভাবে কাজে লাগানো। তৃতীয়ত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের রপ্তানির মানদণ্ড ও চীনা মানদণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তি এগিয়ে নেওয়া, যাতে চীনের কিছু অঞ্চলে ভালোভাবে তা ব্যবহার করা যায়। চতুর্থত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান করা যায়'।
শিল্প ও তথ্যায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, বর্তমানে মাস্ক তৈরিসংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজ পুনরায় শুরুর হার ৬০ শতাংশ, এর দৈনন্দিন উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটিরও বেশি হয়েছে। এ হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে বাজারে সরবরাহ আরও স্থিতিশীল হবে।
(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)