উল্লেখ্য, তথাকথিত এ আইনে বলা হয়, শুধুমাত্র তিব্বতের বৌদ্ধধর্মের ধর্মাবলম্বীরাই দালাইলামার উত্তরাধিকার নির্বাচন করতে পারে। তথাকথিত এ বিলে দালাইয়ের পুনর্জন্মে হস্তক্ষেপের বিষয়ে চীনা কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর কোনও ভিত্তি নেই। এর মাধ্যমে আসলে তিব্বতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উত্সাহ দেওয়া হয়েছে।
সবাই জানে যে, জীবিত বুদ্ধের পুনর্জন্ম হলো তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্মের একটি বিশেষ উত্তরাধিকার পদ্ধতি। এর নির্ধারিত নিয়ম ও নীতি রয়েছে। ঐতিহ্যিক ব্যবস্থা ও আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের জীবিত বুদ্ধ নির্ধারণের ক্ষমতা রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে 'দালাই' ব্যবস্থার অস্তিত্ব ও পুনর্জন্ম কোনও সহজ ধর্মীয় বিষয় বা দালাইয়ের নিজস্ব অধিকার না। কিন্তু এটি হলো তিব্বতের স্থানীয় রাজনৈতিক বিষয়।
প্রাচীনকাল থেকেই তিব্বত হলো চীনের ভূখণ্ড। তিব্বতের বিষয় হলো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনও বিদেশি শক্তির এতে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। তিব্বতের বিষয়টি শুধু জাতীয় ও ধর্মীয় বিষয় নয় রবং চীনের সার্বভৌম ক্ষমতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার নীতিগত বিষয়।
(ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)