তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। এতে আক্রান্ত কেউ ধরা পড়লে, তাদের জন্য ঢাকা শহরে দুটি নির্দিষ্ট হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের চিকিত্সাও দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত চীনে অধ্যয়নরত ৩শ' বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীন থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয় নিশ্চিত হতে তাদের আরও ১৪ দিন চীনে রাখবে চীন সরকার। এ বিষয়ে দু'পক্ষের আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, চীন ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকার কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী, কয়েক দিনের মধ্যে যে কোনও প্রয়োজনে চীনে যাবো না আমরা।
এ ছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ দিনে চীন থেকে ২,৩০৮জন মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এবং ৭ সহস্রাধিক মানুষ বাংলাদেশ থেকে চীনে গিয়েছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রতিদিন প্রায় ৪০০ যাত্রী চারটি ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমানবন্দর দিয়ে চীনে যান।
(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)