জারিফ আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর 'অযৌক্তিক আচরণ' অব্যাহত থাকলে অথবা ইরানের পরমাণু ইস্যুর সংশ্লিষ্ট বিষয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জমা দিলে সার্বিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে তেহরান। শুধুমাত্র ইউরোপীয় দেশগুলো চুক্তিতে উল্লেখিত দায়িত্ব পালন করলে এবং চুক্তির কাঠামোতে ইরানের অর্থনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করলেই চুক্তি মেনে চলবে তেহরান। তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পক্ষ থেকে ইরানের সার্বিক পরমাণু চুক্তির 'বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা' চালু করার চেষ্টা 'অগ্রহণযোগ্য'।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ইউরোপের এ তিনটি দেশ ইরানের সার্বিক পরমাণু চুক্তির 'বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা' চালু করার জন্য আবেদন জানায়। এতে ইরানের চুক্তি অমান্যকারী আচরণ ঠেকানো যাবে বলে জানায় তারা। এ ব্যবস্থায় ইরানের পরমাণু ইস্যুটি পুনরায় নিরাপত্তা পরিষদে উঠলে সার্বিক চুক্তি সই করা দেশগুলো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১৫ দিন সময় পাবে। কোনও সমঝোতা না হলে ইরান পুনরায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/আকাশ)