বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, বর্তমানে চীন ও মিয়ানমার উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন নতুন সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় দু'দেশ অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। দু'পক্ষের উচিত পরবর্তী পর্যায়ে দু'দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করতে কাজ করা।
প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, দু'দেশের উন্নয়নের কৌশলদ্বয়কে দ্রুত সংযুক্ত করতে ও অর্থনৈতিক করিডোর দ্রুত নির্মাণ করতে হবে; প্রধান প্রধান প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দিতে ও পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিনিময় জোরদার করতে হবে; পারস্পরিক বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা ঘনিষ্ঠতর করতে হবে; এবং মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে হবে।
জবাবে অং সান সুচি বলেন, মিয়ানমার দু'দেশের মৈত্রীর ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং চীনের ভালো বন্ধু হতে থাকতে চায়। তাঁর দেশ চীনের সঙ্গে যোগাযোগ, জ্বালানি, উত্পাদন, মানব ও সংস্কৃতি, সীমান্ত, এবং আঞ্চলিক বিষয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।
এদিকে, এদিন দু'দেশ 'চীন-মিয়ানমার যৌথ বিবৃতি' প্রকাশ করে। (শুয়েই/আলিম)