জানুয়ারি ১৭: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মিয়ানমার সফর শুরু হয়েছে। দেশটির সময় শুক্রবার বিকালে সি চিন পিং বিশেষ বিমানে করে নাইপিদাও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বহনকারী বিশেষ বিমান মিয়ানমারের আকাশসীমায় প্রবেশের পর দেশটির যুদ্ধবিমান সি'র বিমানকে পাহারা দিয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যায়।
সি চিন পিং বিমানবন্দরে পৌঁছালে মিয়ানমারের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সুই-সহ মিয়ানমারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সি'কে স্বাগত জানান। এসময় মিয়ানমারের শিশু প্রেসিডেন্ট সি'কে ফুল দিয়ে বরণ করে, রাস্তার দু'পাশে বিভিন্ন জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত তরুণ-তরুণী সি চিন পিংকে শুভেচ্ছা জানায়।
সি চিন পিংয়ের গাড়িবহর বিমানবন্দর ছেড়ে নাইপিদাও শহরের যাওয়ার পথে মিয়ানমারের মানুষ নেচে-গেয়ে সি'কে অভ্যর্থনা জানায়। রাস্তার দু'ধারে শিক্ষার্থীরা দু'দেশের জাতীয় পতাকা নাড়তে থাকে।
সি চিং পিং চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, চীন ও মিয়ানমার হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। দু'দেশের জনগণের মৈত্রী অনেক গভীর ও ঐতিহাসিক। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০ বছরে, দু'দেশ 'শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতি' এগিয়ে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন খাতে বিনিময় ও সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন ফলাফল অর্জন করছে। মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে দু'দেশের সম্পর্ক ও অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে গভীর আলোচনা করার প্রত্যাশা করেন সি চিন পিং। যৌথভাবে ঐতিহাসিক মৈত্রী বৃদ্ধি করে আরও ঘনিষ্ঠ সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচনার কথা জানান সি চিন পিং।
উল্লেখ্য, নতুন বছর এটি সি চিন পিংয়ের প্রথম বিদেশ সফর। ১৯ বছর পর প্রথম মিয়ানমার সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এ বছর চীন ও মিয়ানমারের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপিত হবে।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)