সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি চীনের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে এবং চীনা সাংস্কৃতিক চেতনার উত্তরাধিকার সূত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। চীনা জাতির কয়েক মিলিয়ন সাংস্কৃতিক ভাণ্ডার, দুর্দান্ত সভ্যতার গভীর ও দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২০১৯ সালে, সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন কাজের বিকাশ অব্যাহত ছিল এবং সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির সুরক্ষা খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি জীবিত হয়ে উঠতে পারে ও নতুন পথ অনুসন্ধান করতে পারে। এতে হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি প্রত্যাবর্তনের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে। সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রশস্ত হয়েছে। সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি খাতের প্রযুক্তিগত সহায়তা ক্রমাগত জোরদার করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির সংস্কার ও বিকাশে নতুন অগ্রগতি হয়েছে। চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী লুও শু কাং বলেন: ২০১৯ সালটি সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির কাজের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উন্নতি ও যুগান্তকারী একটি বছর ছিল। আরও বেশি পরিমাণ সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সুরক্ষা ইউনিট ও জাদুঘরকে পর্যটন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক পর্যটন বা 'লাল পর্যটন' ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ পর্যটনের মূল প্রতিপাদ্যে পরিণত হয়েছে। জাদুঘর ভ্রমণ নতুন বছরসহ বিভিন্ন উত্সব উদযাপনের নতুন রীতিনীতিতে পরিণত হয়েছে। সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি বিনিময় ও সহযোগিতার কথা প্রচারিত হয়েছে, ১২টি দেশের 'ওয়ার্ল্ড সিল্ক ইন্টারেক্টিভ ম্যাপ' আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সূচনা করেছে। চীন-বিদেশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যিক সহযোগিতা, বৈদেশিক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সুরক্ষা প্রকল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সংশ্লিষ্ট আইন সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির সুরক্ষা ও ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক কৃতিত্বের প্রমাণ। এটি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা ও ক্রমাগত উন্নয়ন নির্দেশ করে। বর্তমানে সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি খাতে 'সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সুরক্ষা আইন' রয়েছে। এখানে প্রায় ৩০০টিরও বেশি প্রশাসনিক বিধি ও বিভাগীয় বিধান রয়েছে এবং ১৩০টিরও বেশি জাতীয় মান ও শিল্পের মান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি অপেক্ষাকৃত সম্পূর্ণ আইন ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শাসনব্যবস্থার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা ও শাসনক্ষেত্রের সক্ষমতার তুলনায় সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি কার্যব্যবস্থা নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও বড় সমস্যা রয়েছে।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী রাজ্য প্রশাসন পরিচালক লিউ ইউঝু বৈঠকে বলেন, সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির সুরক্ষা ও ব্যবহার জোরদার করা আইন ও ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে আমাদের অবশ্যই সুন্দর ব্যবস্থা তৈরির ওপর মনোনিবেশ করতে হবে এবং সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সুরক্ষা আইনের উচ্চমানের সংস্কার করতে হবে।
সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি খাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন সংশোধন করা, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার কার্যকারিতা রক্ষা করা ইত্যাদি আগামী কয়েক বছরের আমাদের প্রধান কাজ।
সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি-বিষয়ক সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম পারস্পরিক শিক্ষা জোরদার করা ও চীনা সংস্কৃতিকে বিশ্বমানে উন্নীত করার গুরুত্বপূর্ণ বাহক। চীনের বিদেশি সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি বিনিময় ও সহযোগিতা ২০১৯ সালে অবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি অর্জন করেছে। ক্যাম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, উজবেকিস্তান ও সৌদি আরবের ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রকল্প যৌথ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকল্পগুলোর সহায়তা চালিয়েছে।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রাজ্য প্রশাসনের উচিত বিদেশি সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি বিনিময় ও সহযোগিতার সুবিধার প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখা। চীনা সভ্যতার ঐতিহ্য ও দুর্দান্ত চীনা গল্পগুলো সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে চারদিক। যা ক্রমাগত চীনের জাতীয় সাংস্কৃতিক শক্তি ও চীনের প্রভাব বৃদ্ধি করবে।