প্রিয় শ্রোতা, গত মাসে জার্মানির বার্লিনে পরীক্ষামূলক পেকিং অপেরা 'দ্য রিং অফ দি নিবলুঙ্গস'-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। প্রচুর জার্মান মানুষ এটি উপভোগ করে। অপেরা দেখার প্রতিক্রিয়াও ছিল দারুণ। চীনের পিকিং অপেরা এবং জার্মান অপেরার মিশ্রণে চীন-জার্মানির মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি নতুন সেতু তৈরি করে এই অপেরা।
চীনা ও জার্মান শিল্পীদের যৌথ ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পূর্ব এবং পশ্চিম সংস্কৃতির আবেগঘন মিশ্রণ এই নাটকটি। জার্মান মিউজিসিয়ান ওয়াগনারের নামের অপেরা থেকে এটি তৈরি করা হয়। এই নাটকটি জার্মান যুব গোষ্ঠীর আমন্ত্রণে চীনের জাতীয় পিকিং থিয়েটার যৌথভাবে প্রযোজনা করে। ২০১৯ সালে বেইজিং এবং বার্লিনের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠার ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তৈরি হয় এটি।
মা-বাবার সঙ্গে অপেরা দেখতে আসা কাতালিনা দোল সাংবাদিকদের বলেন, তার মায়ের কাজ সমসাময়িক সংগীত গবেষণা। তাই তিনি ও তার পরিবার সাধারণত বিভিন্ন সংগীত পরিবেশনার স্টাইল নিয়ে আগ্রহী। তিনি বলছিলেন, তিনি আশা করেন, এই দুর্দান্ত কাজটি ভবিষ্যতে সারা বিশ্ব ঘুরবে। এতে আরও বেশি মানুষ অপেরাটি দেখার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, এই পারফরম্যান্সটি আমার বাবা আমার ৩০তম জন্মদিনে একটি উপহার হিসেবে দেন। তাই আমাদের পরিবার হ্যানোভা থেকে বার্লিনে আসে। সামগ্রিকভাবে, আমি অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছি। এটি আমাকে নতুন একটি অভিজ্ঞতা দিয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল পিকিং অপেরা হাউজের ডেপুটি ডিন ঝাং ইউয়ে ফেং বলেন, নাটকটি নাটকটির পরিচালক আন্না পারশে সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি ২০১০ সালে চীনের পিকিং অপেরা দেখেন এবং এই শিল্পের গভীরতায় মুগ্ধ হন। তিনি বলেন, আমি দর্শকদের একটি দুর্দান্ত নাটক দেখার অভিজ্ঞতা দেওয়া এবং তাদের অনুপ্রাণিত করতে চাই। ঐতিহ্যবাহী জার্মান শিল্পের প্রত্যক্ষ ও স্বচ্ছ ভাব প্রকাশের মতো নয়, চীনা বেইজিং অপেরা অন্তর্নিহিত এবং কল্পনাপ্রসূত অর্থ রয়েছে। তাই আমি আশা করি, দর্শক 'দ্য রিং অফ দি নিবলুঙ্গস' বোঝার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি খুঁজে পাবেন এবং এর আলাদা ধারণা রয়েছে।
এই পারফরম্যান্সটি দেখতে আসা বার্লিনের মেয়র সে রাতে তাঁর বক্তৃতায় বলেন, চীনা পিকিং অপেরা ও জার্মান নাটকের মিশ্রণ একটি ফলপ্রসূ সহযোগিতা। বার্লিন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি ভালো বন্ধুত্বের প্রতিফলন এটি। একটি নতুন উত্সাহের মাধ্যমে আমরা চীন-জার্মান সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য একটি নতুন সেতু স্থাপন করেছি।