১. গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার কোটি ইউয়ানে। এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৩ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি ইউয়ানে পৌঁছায়। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, চীনের আর্থিক বিজ্ঞান একাডেমির উপ-মহাপরিচালক পাই চিং মিং বলেছেন, গত ১১ মাসে নানান সূচক প্রমাণ করে যে, চলতি বছর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।
২. চলতি বছর সিনচিয়াংয়ের স্থানীয় সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৭৬ হাজার দরিদ্র লোকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
সিন চিয়াং উইগুর স্বায়িত্তশাসিত অঞ্চলের মানবসম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র অনুসারে, চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ দিক পর্যন্ত, দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের ২২টি হতদরিদ্র জেলার ৭৫৯৩৩ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ১৮৯.৮ শতাংশ।
সূত্র অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে চিনচিয়াংয়ে বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের এক লাখ আশি হাজার তিন শ জন সদস্য কর্ম-প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
৩. চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলবিষয়ক আলোচনা দ্রুত সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং। তিনি গত মঙ্গলবার সকালে সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতুতে সপ্তম চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া শিল্প ও বাণিজ্য শীর্ষসম্মেলনে বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে লি খ্য ছিয়াং বলেন, চলতি বছর চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা শুরুর ২০তম বার্ষিকী। বর্তমান আন্তর্জাতিক কঠিন ও জটিল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, তিনটি দেশের উচিত পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা সুসংবদ্ধ ও বাস্তব সহযোগিতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য নতুন নতুন অবদান রাখা।
লি খ্য ছিয়াং আরও বলেন, তিন পক্ষকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণের জন্য কাজ করতে হবে এবং এর আগে অর্জিত 'ব্যাংকক মতৈক্য' বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি, দেশতিনটিকে ত্রিপক্ষীয় অবাধ বাণিজ্যিক অঞ্চলবিষয়ক আলোচনা দ্রুত শেষ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনটি দেশের উচিত পারস্পরিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে যৌথভাবে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান চীনের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য রক্ষা, বাণিজ্যিক বাধা ভেঙ্গে দেওয়া এবং একে অপরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুকূল ব্যবসা-পরিবেশ তৈরি করতে ইচ্ছুক বলেও জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, তিনটি দেশের জনসংখ্যা ১৬০ কোটি; মোট অর্থনীতির পরিমাণ ২০ লাখ ৮০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। গত ২০১৮ সালে তিন দেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
৪. সম্প্রতি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের শুল্ক কমিশন সম্প্রতি কিছু ফল ও গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশসহ নানান পণ্যের আমদানি-কর কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ থেকে আবারও প্রমাণিত হয় যে, চীন আমদানি বাড়াতে, আমাদানি-কাঠামো উন্নত করতে, এবং সংস্কার ও উন্মুক্তকরণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নিবন্ধে বলা হয়, গেল নভেম্বরে দ্বিতীয় চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা দেন যে, চীন বিভিন্ন আমদানি-পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক আরও কমাবে এবং বিভিন্ন দেশের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা আরও বেশি বেশি আমদানি করবে। এবার কিছু আমদানি-পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমিয়ে চীন নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে উন্মক্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখা অব্যাহত রেখেছে।
সম্পাদকীয় নিবন্ধে আরও বলা হয়, চীনের বড় আকারের বাজার আছে এবং ভোগের সুপ্ত শক্তিও বিশাল। উন্মুক্ত চীন বিশ্বের নানান দেশের ভাল পণ্যের জন্য অনেক বড় একটা বাজার। আরও বেশি দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো চীনের উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে, বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তি যোগাবে বলে আশা করা যায়।
৫. চলতি বছরের অধিকাংশ সময় চীনের অর্থনীতি সার্বিকভাবে স্থিতিশীল ছিল এবং বছরের বাকি সময়েও স্থিতিশীল থাকবে। চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গত সোমবার বেইজিংয়ে এক কর্মসভায় এ তথ্য জানায়।
কর্মসভায় বলা হয়, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, চলতি বছর দেশের সফ্টওয়ার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতে আয় ১৫ শতাংশ এবং ইন্টারনেট শিল্পে আয় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
ভবিষ্যতে দেশি-বিদেশি উপাদানের কারণে সৃষ্ট সংকটের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে বলেও কর্মসভায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
৬. সম্প্রতি বিভিন্ন মহলের বিদেশি বিশেষজ্ঞরা মাতৃভুমিতে ম্যাকাওয়ের ফেরার পরবর্তী ২০ বছরে অর্জিত অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা মনে করেন, চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ও মূল ভূভাগের সমর্থনে, ম্যাকাওয়ে সুশাসনের পাশাপাশি অর্থনীতির উল্লম্ফন অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আর এতে 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা'র সাফল্য প্রমাণিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডানকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও কূটনীতি বিভাগের অধ্যাপক কিম হো হো বলেন, মাতৃভূমিতে ফেরার পরবর্তী ২০ বছরে, 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা'র কাঠামোতে, ম্যাকাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তৃতীয় শিল্পে বিশাল উন্নতি করেছে ম্যাকাও। পাশাপাশি, ম্যাকাওবাসীদের আয় বেড়েছে ও তারা নানাবিধ সামাজিক সুবিধা ভোগ করছেন।
ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেন ব্যারেল বলেন, মাতৃভূমিতে ফেরার পর থেকে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে ম্যাকাও, যার পেছনে ছিল চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের বিপুল সমর্থনও। ম্যাকাওয়ের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
রাশিয়ার উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক একাডেমির আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতিবিষয়ক মহাপরিচালক বলেন, মাতৃভূমিতে ফেরার পর সামাজিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি ম্যাকাওয়ের অর্থনীতির সুষ্ঠু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে এই অঞ্চলটি বৈশ্বিক পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ম্যাকাওয়ে 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' সফল হয়েছে।
৭. চীনের চেচিয়াং প্রদেশের একটি প্রিন্টিং কোম্পানির বিরুদ্ধে শাংহাইয়ের ছিং পু কারাগারে আটক বিদেশি বন্দিদের দিয়ে জোরপূর্বক বড়দিনের কার্ড তৈরি করানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক লু ইয়ুন পিয়াও। ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরকে গত মঙ্গলবার 'ভিত্তিহীন' বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
লু ইয়ুন পিয়াও বলেন, ব্রিটিশ গণমাধ্যমের অভিযোগে তিনি অবাক হয়েছেন। তার কোম্পানি কখনও এ কাজ করেনি। শাংহাইয়ের ছিং পু কারাগারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই; এমনকি কোম্পানি কারাগারের ঠিকানাও জানে না। এ অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট।
তিনি বলেন, বড়দিনের কার্ড চীনা শ্রমিকদের দিয়ে তৈরি করানো হয় এবং চীনের শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির কাজ পরিচালিত হয়।
লু ইয়ুন পিয়াও আরও বলেন, কোম্পানির ৬০ শতাংশ কার্যক্রম রফতানিসংশ্লিষ্ট। বিদেশি অতিথিরা প্রতিবছর কোম্পানিটির মানবাধিকার পরিস্থিতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তাসহ নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে আসেন।
৮. রুশ প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত প্রাকৃতিক গ্যাস ট্রানজিট চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে।
রাশিয়া টুডে বার্তা সংস্থা কোম্পানিটির প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে জানায়, এ চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর। রাশিয়া ২০২০ সালে ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে ইইউ'র বিভিন্ন দেশে ৬৫০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্র্যাস সরবরাহ করবে। আর ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ৪০০০ কোটি কিউবিক মিটার করে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ইউক্রেনকে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করবে। দু'দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে করা সকল মামলাও প্রত্যাহার করবে। একই সঙ্গে ইউক্রেন দেশটিতে রুশ সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াও বন্ধ করবে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্টকহোম আদালত এক রায়ে, চুক্তি অনুযায়ী পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ না-করায়, ইউক্রেনকে ৪৬৩ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাশিয়াকে আদেশ দেয়। অবশ্য মস্কো সেই রায় প্রত্যাখ্যান করে।
৯. মার্কিন অবরোধ মোকাবিলায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানাল বার্মুদেজ।
তিনি সম্প্রতি দেশটির নবম জাতীয় গণকংগ্রেসের চতুর্থ স্থায়ী অধিবেশনের সমাপনী সভায় বলেন, কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ অবস্থায় কিউবার জনগণের উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
চলতি বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিউবা ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, কিউবার তেল আমদানিতে বাধা, এবং কিউবার ব্যাংকিং লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে-সব ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল বলেন, কিউবা কষ্টকর এক বছর কাটিয়েছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পারেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল অর্থনীতির পতন ঘটিয়ে কিউবার প্রশাসনকে ধ্বংস করা।
তিনি জনগণের প্রতি অর্থনৈতিক সংকট কাঁটিয়ে ওঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, কিউবার উচিত উত্পাদনের আকার, ধরণ ও গুণগত মান উন্নয়ন করা এবং আমদানি কমানো। তা ছাড়া, মুদ্রানীতি পরিবর্তনে জনগণের যেই আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, তা পূরণ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
১০. বাংলাদেশের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এখন থেকে গ্রাহকদের মধ্যে চীনের ইউনিয়নপে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করবে। নতুন এই কার্যক্রম চালু উপলক্ষ্যে সম্প্রতি ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি চি মিং উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক প্রথম সেদেশে ইউনিয়নপে কার্ড ইস্যু করা শুরু করে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউনিয়নপে ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে ইবিএল-এর ইউনিয়নপে ক্রেডেট কার্ড কার্যক্রম চীন-বাংলাদেশ আর্থিক সহযোগিতার অগ্রগতির পথে একটি মাইলফলকস্বরূপ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বের ১৭৪টি দেশ ও অঞ্চলে ইউনিয়নপে কার্ড গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশে ইবিএলের এই কার্ড চালুর ফলে নতুন নতুন ব্যবসা-সুযোগ সৃষ্টি হবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১৮ সালে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৮৭০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছায়, যা আগের বছরের চেয়ে ১৬.৮ শতাংশ বেশি।
(আলিমুল হক)