কুয়াং লিয়াং প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ বর্ষ থেকে পিয়ানো বাজানো শেখা শুরু করেন। ১৯৯০ সাল থেকে যথাক্রমে ৩০টি বিভিন্ন ধরনের সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং বিভিন্ন পুরস্কার জয় করেন।
১৯৯৫ সালে তিনি চীনের তাইওয়ান প্রদেশের রক রেকর্ডসে যোগ দেন এবং পিন কুয়ান নামে অন্য এক কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে 'উ ইন লিয়াং পিন' নামে একটি সংগীত ব্যান্ড গঠন করে সংগীত মহলে যোগ দেন।
২০০০ সালে 'উ ইন লিয়াং পিন' সংগীত ব্যান্ড ভেঙ্গে দেন এবং দু'জন কণ্ঠশিল্পী আলাদাভাবে সংগীত জীবন শুরু করেন।
২০০১ সালে কুয়াং লিয়াংয়ের প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'প্রথমবারের মতো নিজেই অ্যালবাম তৈরি করা' প্রকাশিত হয়।
২০০২ সালে কুয়াং লিয়াংয়ের আরেকটি ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'আলো' বাজারে আসে।
২০০৫ সালে কুয়াং লিয়াংয়ের অ্যালবাম 'রূপকথা' মুক্তি পায়। এই অ্যালবামটি এশিয়ায় ২১টি চ্যাম্পিয়ন পুরষ্কার লাভ করে। এর বিক্রির পরিমাণ ১২ লাখ কপি ছাড়িয়ে যায়।
২০০৬ সালে কুয়াং লিয়াং নিজের রচিত সংগীত অ্যালবাম 'প্রতিশ্রুতি' প্রকাশ করেন। সে বছর তিনি নিজের প্রথম ব্যক্তিগত কনসার্ট ট্যুর আয়োজন করেন। তখন থেকে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কনসার্ট ট্যুর আয়োজন করতে থাকেন।
২০১০ সালে কুয়াং লিয়াং নিজেই সিংইয়ু নামে একটি সংগীত কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে 'তাইপেই-এর রোববার', 'সেই অসম্পন্ন স্বপ্ন'সহ কিছু জনপ্রিয় গান প্রকাশ করেন।
২০১০ সালের ২৮ অগাস্ট কুয়াং লিয়াং তাইওয়ান প্রদেশের তাইপেই শহরে কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁর গান 'অনেক শিশুহৃদয়' প্রকাশিত হয়। দশ দিনের মধ্যে গানটি ডাউনলোড হয় ২ লাখ বারেরও বেশি।
২০১০ সালের ১০ ও ১১ ডিসেম্বর কুয়াং লিয়াং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে তাঁর মালয়েশিয়া কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, কুয়াং লিয়াং ইন্দোনেশিয়ায় আরেকটি কনসার্ট আয়োজন করেন। সে বছরের ৮ নভেম্বর তাঁর গান 'আমাদের গল্প' প্রকাশিত হয়। গানটি 'মালয়েশিয়ার পর্যটনের' থিম সং হিসেবে মর্যাদা পায়।
২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি, কুয়াং লিয়াং তাইওয়ান প্রদেশের তাইপেই শহরে 'আমাদের গল্প' নামে কনসার্ট আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে কণ্ঠশিল্পী কুয়াং লিয়াং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)