চীনে প্রযুক্তিগত অপরাধ দমনে অভিশংসক-দল গঠন
  2019-12-07 15:32:41  cri

চীনে প্রযুক্তিগত অপরাধ দমনে অভিশংসক-দল গঠন

চীনে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিগত অপরাধ দমনে বিশেষ অভিশংসক-দল গঠিত হয়েছে। এটি আইনি ব্যবস্থার পেশাদার সংস্কারের প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তিগত বৈজ্ঞানিক অপরাধ দমনে শক্তিশালী পদক্ষেপ। এটি একটি সেতুর মতো, মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট পেশাদার গোষ্ঠী, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিভিন্ন মহলে তা বিশেষ শক্তি যুগিয়েছে। এতে আধুনিক বিজ্ঞান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্ট বৈজ্ঞানিক অপরাধ দমন করা যায়, এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।

'জনগণের পক্ষ থেকে দেওয়া দায়িত্ব'

'আগে আমরা যেসব মামলা পেতাম, সেসব বেশিরভাগই মোবাইল ফোন চুরির মামলা। তবে এখন এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন মোবাইল পে খুব প্রচলিত, লোকেরা মোবাইল এপিপি'র মাধ্যমে অনলাইন পে করতে অভ্যস্ত হয়েছে। চোররা মোবাইল ফোন চুরি করে মোবাইল ফোনের এপিপি থেকে টাকা ট্রান্সফার করে এবং টাকা চুরি করে। বেইজিংয়ের হাইতিয়ান ডিসট্রিক্টের গণঅভিংশসক দফতরের বৈজ্ঞানিক অপরাধ অভিশংসক-দলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সুই তান বর্তমান বৈজ্ঞানিক অপরাধ এবং সাধারণ অপরাধের পার্থক্যের কথা বলতে গিয়ে এ উদাহরণ দিয়েছেন।

এই বৈজ্ঞানিক অপরাধ অভিশংসক-দল ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুই তান হলেন প্রথম দফায় এই দলে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যতম একজন অভিশংসক। তিনি ১৯৮০'র দশকে জন্মগ্রহণ করেন, চীনারা সেই দশকে জন্মগ্রহণ করা লোকজনকে ৮০'র দশকের প্রজন্ম' বলে থাকে। এ বয়সের লোকজনই মূলত ইন্টারনেট যুগের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন। সুই তান নিজেও ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে অনেক আগ্রহী। তিনি অনলাইন গেমসের অনুরাগী। ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব ভালো জানায় তিনি এর আগে অন্যান্য মামলার তদন্ত গ্রুপে বেশ কিছু কম্পিউটার-সংক্রান্ত অপরাধের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বর্তমানে এটি দেশের একমাত্র বিশেষ ও পেশাদার বৈজ্ঞানিক অপরাধ অভিশংসক-দল। যা বেইজিংয়ের হাইতিয়ান জেলার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। হাইতিয়ান জেলায় হাই-টেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি, বিশ্ববিদ্যালয় বেশি, উচ্চ প্রযুক্তিগত অপরাধীর সংখ্যাও বেশি। তাই এখানে বৈজ্ঞানিক অপরাধ বেশি ঘটে থাকে। এই অভিশংসক-দল গঠনের পর দলের চারজন তরুণ অভিশংসক প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০টি মামলা পান। এর মধ্যে রয়েছে, কম্পিউটার অপরাধ, টেলি-প্রতারণা এবং ইন্টারনেট আর্থিক অপরাধ ইত্যাদি।

সুই তান প্রথম বৈজ্ঞানিক অপরাধের মামলা তদন্তের অভিজ্ঞতা লাভ করেন ২০০৫ সালে। তখন হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধ ছিল না। একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী সহকর্মীর ব্যক্তিগত ইউসার নেম ও পাসওয়ার্ড কোড চুরি করে অবৈধভাবে কিছু গোপনীয় সূচক পেয়ে যায়। বর্তমানে সুই তান যেসব অপরাধের সম্মুখীন হন, তা বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত অপরাধ। ২০০৫ সালে চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ কোটি; এখন সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের পাশাপাশি বহুমুখী বৈজ্ঞানিক অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে লোকজন ইন্টারনেটের ওপর খুব নির্ভর করে। এ কারণে ইন্টারনেট-সংক্রান্ত অপরাধ অনেক বেশি হচ্ছে। সুই তান বলেন, 'আগে অপরাধীরা ইন্টারনেটে কিছু ইউসার নেম ও পাসওয়ার্ড চুরি করত, এখন ইন্টারনেটেই সব তথ্য পাওয়া যায়',।

তথ্য অধিকার, নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেশের আইন প্রয়োগের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। ২০১৭ সালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা চুরি করার মামলা ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এরপর অবৈধভাবে গোপনীয় সূচক চুরি করার মামলাও দেখা যাচ্ছে। সুই তান গত কয়েক বছরের বৈজ্ঞানিক অপরাধ পর্যালোচনা করে বলেন, ২০১৬ সালে তাদের এই পেশাদার বৈজ্ঞানিক অপরাধ অভিশংসক-দল গঠন যথাসময়ে হয়েছিল যা খুব প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, এখন ২০১৬ সালের কথা স্মরণ করি। আমাদের কর্তৃপক্ষও এমন প্রবণতা উপলব্ধি করেছিলেন যে, বৈজ্ঞানিক অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাবে, আমাদের এই দল গঠন যেন আগে থেকেই এমন ব্যবস্থা স্থাপন করেছে, যাতে এমন মামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

বৈজ্ঞানিক অপরাধ সম্পর্কিত অভিশংসক-দল শুধু এমন মামলা তদন্তের ব্যক্তিই নয়, বরং পেশাদার সামর্থ্য জোরদার করা, পেশাদার বিশ্লেষণ যন্ত্র, তথ্য ও সূচকের ডেটাবেস, মামলা তদন্ত পদ্ধতি এবং পেশাদার সমর্থকের ব্যবস্থার স্থাপন করা ইত্যাদি। তার প্রতিষ্ঠা হলো আইনি ব্যবস্থার পেশাদার সংস্কারের প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক অপরাধীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী জবাব।

অপরাধীদের উদ্ভাবনীশক্তি ও কল্পনাশক্তিকে ছোট করে দেখা যাবে না

মামলা তদন্তে ঐতিহ্যগত পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক অপরাধে প্রয়োগ করা যায় না এবং তা উপযোগীও হচ্ছে না। এখানে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রযুক্তি সম্পর্কে বেশি জানা এবং নেটের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ সংগ্রহ করা। সুই তান বলেন, কখনওই অপরাধীদের উদ্ভাবনী শক্তি ও কল্পনা শক্তিকে ছোট করে দেখা যাবে না। অপরাধের প্রযুক্তি নিয়ে তাদের গবেষণা আমাদের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

বৈজ্ঞানিক অপরাধ সম্পর্কিত অভিশংসক-দলে যোগ দিতে হলে পেশাদার দক্ষতা অর্জন করতে হয়। দলের সহকারী অভিশংসকের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রেক্ষাপট আছে, বিশেষ করে অ্যাকাউন্টিং বিষয় শিখেছে এমন অভিশংসকও আছে। এই দলে পাই লেই নামে একজন অভিশংসক ইন্টারনেটে খুব জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত। তিনি অনলাইন লাইভ শো'র মঞ্চে জনগণের জন্য আইনের বিষয় জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেন এবং সবাইকে অপরাধ এবং প্রতারণা এড়ানোর পদ্ধতি শেখান।

এই দলের সদস্যরা নতুন বিষয় এবং নতুন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি সম্বন্ধে স্পর্শকাতর হয়ে থাকেন। আপনি অনুমান করতে পারবেন না যে, একবার ইন্টারনেট শিল্প প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্ব থেকে কি পরবর্তী মামলার সূচনা হবে কি না। যখন কিছু নতুন ধারণা বা উত্তপ্ত বিষয় আসবে, তখন আপনার উচিত সচেতন থাকা। এর সঙ্গে কিছু নতুন ধরনের মামলার সম্পর্ক আছে কি না, সে বিষয়েও সচেতন থাকা। যখন বিটকয়েন সবার দৃষ্টিতে চলে আসে, তখন বৈজ্ঞানিক অপরাধ অভিশংসক-দল এই খাতের বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করেন। কারণ, তাদের সচেতন থাকতে হয় এবং তারা জানেন এর সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন মামলা নিশ্চয় আসবে। পরবর্তীতে সত্যিই বিটকয়েন চুরি করা ও ব্ল্যাকমেইল করার মামলা আসে। এমন পেশাদার প্রশিক্ষক তাদের দলে কয়েকজন রয়েছেন। অভিশংসক প্রোগ্রামারের কাছে পেশাদার প্রস্তাব জিজ্ঞাস করার পর অবাধে উচ্চ আই কিউ অপরাধীদের সঙ্গে বিনিময় করতে পারে।

অনেক সময়, ই-ডেটা থাকলে বৈজ্ঞানিক অপরাধ তদন্ত করা যায়। পরে ই-ডেটা লুকানো, বিলোপ করা এবং খোঁজা ও পুনরুদ্ধার যেন অপরাধী ও অভিশংসকের এক ধরনের লড়াই। কেনিয়ায় একটি অন্তঃদেশীয় টেলি-প্রতারণা প্রমাণ করে যে, এই অভিশংসক-দল এমন মামলা পরিচালনায় খুবই দক্ষ। যখন এই মামলা গ্রহণ করা হয়, তখন এই দলটি মাত্র গঠিত হয়েছিল। তখন এ মামলা একদম নতুন, আর এই মামলা সম্পর্কিত ডেটা অনেক বেশি ছিল; যা বেইজিং শহরের অভিশংসক প্রযুক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সমর্থন দেওয়া প্রথম মামলা। এ ছাড়া, এই মামলার পেশাদার কন্সুলেট হিসেবে কাজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক অপরাধ অভিশংসক-দল সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানান। দলটি দেশের ইন্টারনেট নিরাপত্তাসহ পেশাদার পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে, বিশেষজ্ঞের সাক্ষীসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সব অপরাধের আইনানুগ শাস্তি দিয়েছে।

এসব বৈজ্ঞানিক অপরাধের মামলা তদন্ত করা কত কঠিন হতে পারে, দলের সদস্যরা সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছেন। সুই তান বলেন, 'আমরা অনেক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করলেও, অপরাধী সংস্থার কাঠামো ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা আসলে নিম্ন পর্যায়ের। প্রধান অপরাধী অধিকাংশই বিদেশে লুকিয়ে থাকে এবং দূর থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ এবং অভিশংসকের পক্ষেও তা তদন্ত করা বেশ মুশকিল'।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অপরাধ ছড়িয়ে পড়ার আওতা অনুমান করা অনেক কঠিন। ইন্টারনেট অপরাধ সহজেই লুকানো যায়, শিকারের সংখ্যাও অনেক বেশি। মাঝে মাঝে, যদি এমন মামলার স্পষ্ট প্রমাণ পেতে চান, তাহলে অভিশংসককে শিকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাই এই দলের অভিশংসককে সবসময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন মামলা তদন্তের সময় অভিশংসকরা খুব ব্যস্ত থাকেন এবং সবসময় অফিসে থাকেন, বাসায় ফিরে যেতে পারেন না, তবে এই তরুণ দলের সবাই এ কাজ সম্পর্কে খুব অবগত থাকে। সুই তান বলেন, 'যদি আপনি মামলা তদন্ত করতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনি মনে করবেন তা খুব মজার একটি ব্যাপার, বিশেষ সুযোগে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিতে এই বিশ্ব দেখা যায়'।

এর আগে এমন অপরাধ তদন্তের কোনো উদাহরণ নেই

নতুন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইন বেশ অস্পষ্ট, এমনকি একেবারে শূন্য হয়ে থাকে। অনেকে ধারণা করেন, আইনে স্পষ্টভাবে সবকিছু ব্যাখ্যা করা হয় নি।

সুই তান বলেন, 'আমাদের অনেক মামলা, সবই বিভিন্ন ধরনের, নতুন ধারণা, কোনো উদাহরণ নেই, কোনো নমুনাও নেই'। সুই তান ও তাঁর দল প্রথম দিকে অবৈধভাবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার মামলা তদন্তের সময় এ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

তখনকার আইনের ব্যাখ্যায় নাগরিকের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে, টেলিফোন নম্বর এর অন্তর্ভুক্ত। তবে যদি একটি টেলিফোন নম্বরের কোনো নাম বা ব্যক্তিগত তথ্য না থাকে, তাহলে তা কি নাগরিকের ব্যক্তিগত হিসেবে নির্ধারণ করা যায়? এ অবস্থায় যদি অপরাধী এমন টেলিফোন নম্বর দিয়ে প্রতারণা করে, তাহলে আইন দিয়ে কীভাবে এ অপরাধকে ব্যাখ্যা করবেন?

দীর্ঘ সময় ধরে আইনের ক্ষেত্র অন্বেষণ করায় দলের সদস্যদের পেশাদার স্পর্শকাতর অবস্থা বজায় ছিল। গত বছর সুই তান ও তার দল দেশের এমবিএ এবং স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় নকল ধরার মামলাগুলো দেখতেন। তখন পরীক্ষায় নকল করা নিয়ে দেশে সংশ্লিষ্ট কোনো আইনের ব্যাখ্যা ছিল না। সুই তান ও তার দল অভিশংসকদের সম্মেলন আয়োজন করে এই মামলা নিয়ে আলোচনা করেন। 'দেশের আইন প্রণয়নের সময় কেন এ আচরণকে অপরাধ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়? এই অপরাধ কোন মাত্রার অপরাধ? কী ধরনের শাস্তি দেওয়া যায়, কীভাবে আদালতে আপনার ধারণা তুলে ধরা যায়? মামলায় অনেকেই জড়িত থাকলে, প্রত্যেকের ভূমিকা কীভাবে নির্ধারণ করা যায়?' আইনের ধারণা ও মামলা তদন্তের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, দলটি প্রধান অপরাধী ও অপরাধীর সহকারী নির্ধারণ করে, তাদের অপরাধের মাত্রাও স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছে। এই মামলা দায়ের করার সময় চীনে সংশ্লিষ্ট আইনগত ব্যাখ্যা প্রকাশিত হয়। সুই তান এবং তাদের দলের মানদণ্ড ঠিক দেশের আইনগত ব্যাখ্যার মতামত একই।

বৈজ্ঞানিক অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলা দায়ের পথে কোনো নমুনা নেই, কোনো উদাহরণ নেই, এই পথ অনেক কঠিন, তবে এই পথে সুই তান এবং তার দল একাকী নন। হাইতিয়ান জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ইন্সটিটিউট, আইনবিদ আইনি দিক থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে দারুণ সমর্থন দিয়েছেন। যদি কোনো নতুন বৈজ্ঞানিক অপরাধের ঘটনা ঘটে, তাহলে হাইতিয়ান জেলার 'প্রোগ্রামার লিগ' প্রযুক্তিগত সমর্থন দিয়ে থাকে। কারণ, হাইতিয়ান জেলায় অনেক হাই-টেক শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, তাই প্রোগামারের সংখ্যাও অনেক বেশি। বিভিন্ন ইন্টারনেট শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণের ইন্টারনেট নিরাপত্তাবিষয়ক প্রকৌশলী আছে। সুই তান ও তার দল সবসময় ইন্টারনেট শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট নিরাপত্তা জনপ্রিয় করার জন্য যাতায়াত করেন। সঙ্গে সঙ্গে তারাও প্রোগ্রামারের কাছ থেকে সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখেন এবং এর মাধ্যমে অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান হয়।

বৈজ্ঞানিক অপরাধ-সংশ্লিষ্ট অভিশংসক-দল যেন একটি সেতুর মতো, পেশাদার শক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শক্তি যুগিয়ে প্রত্যেকের গোপনীয়তা এবং তথ্য নিরাপত্তা রক্ষার যুদ্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

(শুয়েই/তৌহিদ)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040