দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান চোই ইয়োংবায়ে বলেন, এবারের 'হাইনান দ্বীপ' শীর্ষক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব ফলপ্রসূ হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
'চীনা বাজার ক্রমশ বাড়ছে। চীনের চলচ্চিত্র শিল্পও অব্যাহতভাবে উন্নয়ন করছে। এবারের চলচ্চিত্র উত্সবের মাধ্যমে আরও বেশি চলচ্চিত্র ব্যক্তিরা ও প্রযোজক আরও বেশি বিনিময় করতে পারবেন। এবারের উত্সব হবে আমাদের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র কর্মীদের মহাসম্মিলনী। চলচ্চিত্র খাতে আমরা সবসময় যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাই, এই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সুফল পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি'।
মার্কিন বিখ্যাত অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও ডিরেক্টর এথান হাকে সানইয়ায় চলচ্চিত্রের শিল্পায়ন নিয়ে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
'আসলে, যে কোনো বিষয়ের চলচ্চিত্র হোক না কেন, আমি একই পদ্ধতির মাধ্যমে চলচ্চিত্র উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। যেমন ১০ লাখ মানুষকে ডিনার করাতে হয় আমাকে। খাদ্যগ্রহণে মানুষের সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সকলের পছন্দ অনুযায়ী এই ডিনার করানোর চেষ্টা করি। চলচ্চিত্র খাতে এই কথা একইভাবে জড়িত। চলচ্চিত্র কর্মটি সফল কি না তা নির্ভর করে দর্শকদের পছন্দ বা জনপ্রিয়তার ওপর'।
এবারের চলচ্চিত্র উত্সবের এই বিনিময় প্ল্যাটফর্ম মাধ্যমে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র কর্মীরা মনে করেন, চলচ্চিত্র হচ্ছে ভাগাভাগি ও বিনিময় খাতের শিল্প। এতে সহিষ্ণু মনোভাব আরও তাত্পর্যবহ। শ্রীলঙ্কার জাতীয় চলচ্চিত্র কোম্পানির চেয়ারম্যান আনুশা গোকুলা ফার্নান্দো চলচ্চিত্র খাতে সহযোগিতা জোরদার করার আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
'শিল্প না থাকলে আমাদের জীবন অর্থপূর্ণ হবে না। বর্তমান বিশ্ব বিভিন্ন রকমের সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় সমাধানের প্রস্তাব খুঁজে বের করতে চাইলে আমাদের উচিত শিল্পের মাধ্যমে বিশেষ করে চলচ্চিত্র এই চ্যানেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপায় খুঁজে বের করা। চীনের সঙ্গে এই ধরনের সহযোগিতা চালাতে শ্রীলংকা আগ্রহী। চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্র হলের মাধ্যমে বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করতে পারবে'।
তাছাড়া, হাইনান দ্বীপের সামুদ্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিনাখরচে সকলের কাছে 'বহিরাঙ্গন সৈকত প্রদর্শন' ব্যবস্থা নিয়েছে উত্সবের কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে এবারের উত্সবের নব্যতাপ্রবর্তন ও শিল্পায়ন তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি, সারা বছরে হাইনান দ্বীপে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনাও নিয়েছে হাইনান কর্তৃপক্ষ।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, বর্তমান চীনে অনলাইনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র দর্শকের সংখ্যা চলচ্চিত্র হলের চেয়ে ব্যাপকভাবে বেশি। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা জানান, ভবিষ্যতে পরিবারে সরাসরি অ্যকাউন্ট দেয়ার পদ্ধতি চালু হবে। বাসায় বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র হলে প্রদর্শিত চলচ্চিত্র একই সময়ে দেখা সম্ভব হবে। (ওয়াং হাইমান/টুটুল/তুহিনা)