উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাস করার পর বাবার সাহায্যে কুও ফু ছেং হংকংয়ের একটি সোনার দোকানে কর্মী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে একবার নৃত্য অনুষ্ঠানে কুও ফু ছেং আহত হন, এতে বেশি সময় ছুটি নেওয়ার কারণে কুও ফু ছেং নিজের প্রথম চাকরি হারান।
১৯৮৪ সালে বন্ধুর সাহায্যে কুও ফু ছেং হংকংয়ের টিভিবি'র নৃত্য প্রশিক্ষণ ক্লাসে যোগ দিয়ে একজন নৃত্য শিল্পী হন। এরপর তিনি হংকংয়ের মেই ইয়ান ফাংসহ বিভিন্ন বড় এবং বিখ্যাত শিল্পীর এমটিভিতে নৃত্য শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।
১৯৮৭ সালে কুও ফু ছেং টিভিবি'র অভিনেতার প্রশিক্ষণ ক্লাসে যোগ দেন এবং শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জন করেন। তখন তিনি হলেন টিভিবি'র দশ জন প্রতিভাবান তারকার অন্যতম। এর মধ্যে বেশ কিছু টিভি সিরিজে তিনি অভিনয় করেন। তবে এসব টিভি সিরিজে তার চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাই তখন তিনি বেশি নজর আকর্ষণ করতে সক্ষম হন নি।
১৯৯০ সালে কুও ফু ছেং চীনের তাইওয়ান প্রদেশে একটি মোটর সাইকেল বিজ্ঞাপনে অভিনয় করায় এক রাতের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেন। এর পর তিনি ফুলুং প্রচার কোম্পানিতে যোগ দিয়ে এই কোম্পানির একজন শিল্পী হন।
১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, কুও ফু ছেং-এর প্রথম চীনা ভাষার অ্যালবাম 'তোমাকে আমার ভালোবাসার শেষ নেই' প্রকাশিত হয়, এর মাধ্যমে তার সঙ্গীত জীবন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তাঁর এই প্রথম অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি কপি। এই বছরের শেষ দিকে তাইওয়ান প্রদেশে আয়োজিত বার্ষিক দশ জন হংকং কন্ঠশিল্পীর নির্বাচনে কুও ফু ছেং পুরুষ কন্ঠশিল্পীর প্রথম স্থান অর্জন করেন।
১৯৯১ সালে কুও ফু ছেং আবারও দু'টি বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একটি হল 'আমি কি শান্তভাবে চলে যাবো?' আরেকটি হল 'কে আমাকে জানাতে পারে'। উভয় অ্যালবামের বিক্রির পরিমাণ ৪.৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
কুও ফু ছেং ১৯৯১ সালে হংকংয়ের বেতারের দশটি গোল্ডেন সং পুরস্কারের সবচেয়ে প্রতিভাবান নতুন কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার জিতে নেন।
১৯৯২ সালে কুও ফু ছেং কন্ঠশিল্পীর পরিচয় দিয়ে আবারও হংকংয়ের অ্যালবাম বাজারে ফিরে আসেন। তিনি হংকং অ্যালবাম বাজারে 'আমার অনুভূতিকে বাসায় নিয়ে যাও' নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। কুও ফু ছেং হংকংয়েও বিখ্যাত হয়ে উঠেন, তার চুলের স্টাইল তখন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুও ফু ছেং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)