প্রথম সভ্যতা বিনিময় সংলাপ সম্মেলন বেইজিংয়ে আয়োজিত, বাংলাদেশের ডেপুটি স্পিকারের অংশগ্রহণ
  2019-11-29 13:57:48  cri

 

নভেম্বর ২৯: গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রথম সভ্যতা বিনিময় সংলাপ সম্মেলন বেইজিংয়ের রাজপ্রাসাদ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। প্রতিনিধিরা 'ভিন্ন সভ্যতার বিনিময় এবং সুষম সহাবস্থানের সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার' প্রতিপাদ্য নিয়ে বিনিময় ও আলোচনা করেন। দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছেন যে, বৈচিত্র্যতা হল মানবজাতির সভ্যতার মর্ম। সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শেখা হল শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন এবং সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলাকে ত্বরান্বিত করার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।

চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, চীন আন্তর্জাতিক বিনিময় সমিতির প্রধান জি বিং সুয়ান

চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, চীন আন্তর্জাতিক বিনিময় সমিতির প্রধান জি বিং সুয়ান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে শত বছরের মধ্যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটছে। সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শেখা জোরদার করা, বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা। গত মে মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এশীয় সভ্যতার সংলাপ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, বৈচিত্র্যতার কারণে সভ্যতার বিনিময় হয়, বিনিময়ের কারণে পারস্পরিক শেখা হয়, পারস্পরিক শেখার কারণে উন্নয়ন হয়। চীনা জাতির সভ্যতার উন্নয়নের ইতিহাস ঠিক একটি সভ্যতার বিনিময়ের ইতিহাস। আমরা এবার সংলাপ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার বিনিময় ও যোগাযোগের সেতু এবং বিশ্বের শান্তি রক্ষার সেতু স্থাপন করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন,

এই জন্য আমরা কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করি: প্রথমত, সহাবস্থান করা এবং সভ্যতার বৈচিত্র্যতাকে রক্ষা করা। দ্বিতীয়ত, পরস্পরকে সম্মান করা এবং সভ্যতার সহনশীলতাকে জোরদার করা। তৃতীয়ত, সহাবস্থানের মাধ্যমে যৌথ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। চতুর্থত, সভ্যতা নিয়ে যৌথ ভাগাভাগি করার চেষ্টা করা।

 

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রী সুং থাও

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রী সুং থাও ভাষণে বলেন, চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং দেশের পরিচালনা ব্যবস্থা মানবজাতির ব্যবস্থার সভ্যতার জন্য নতুন বিষয় যুগিয়েছে। চীন চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরো সুসংহত করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দেশ প্রশাসনে চীনের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধি শেয়ার করবে। তিনি বলেন,

পারস্পরিক সম্মান এবং সহনশীল করার মর্মে আমরা বিভিন্ন সভ্যতার যৌথ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবো। আমাদের উচিত নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় অবদান রাখা।

বিদেশি প্রতিনিধিরা মনে করেন, চীনা জাতির সভ্যতা খুব প্রাণচঞ্চল। চীনের উত্থাপিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব হল বিশ্বের জন্য চীনের প্রদানকৃত নতুন অবদান।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া মনে করেন, বিভিন্ন সভ্যতার ভালো এবং মন্দের ব্যবধান নেই। সব সভ্যতাই সমান। তিনি বলেন,

কারণ সভ্যতা খুব বৈচিত্র্যময়। আমাদের উচিত অন্যান্য সভ্যতাকে সম্মান করা, বিনয় বজায় রাখা, অন্যান্য সভ্যতাকে উপলব্ধি করা এবং পক্ষপাতিত্ব এড়ানো।

প্রথম সভ্যতার বিনিময় সংলাপ সম্মেলন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চীন আন্তর্জাতিক বিনিময় সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত হয়। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা 'উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ', 'সভ্যতার বিনিময় ও যৌথ উন্নয়ন'সহ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে 'বেইজিং ঘোষণা' প্রকাশিত হয়েছে।

(শুয়েই/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040