'২০১৯ সালের গবেষণার সর্বশেষ রিপোর্ট' পেপার সূচকের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের অবস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাঠামো বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর ফলে ২০১৯ সালে দশটি একাডেমিক বিষয়ের একশ'টি চূড়ান্ত বিষয় বাছাই করা হয়। এতে অণুজীব দিয়ে দূষিত পানি বিশুদ্ধকরণ এবং আধুনিক উপকরণসহ ৩৭টি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে বৈষয়িক বিষয়সংক্রান্ত বিষয় উন্নয়নের প্রবণতা প্রতিফলিত হয়েছে।
চীনের বিজ্ঞান একাডেমির বিজ্ঞানকৌশল কনসুলেট গবেষণাগারের কৌশল গবেষণা বিভাগের প্রধান লেং ফু হাই বলেন, '২০১৯ সালের গবেষণার সর্বশেষ রিপোর্টের' ভিত্তিতে '২০১৯ সালে গবেষণার সর্বশেষ সূচক' রিপোর্টে বিশ্বের প্রধান প্রধান দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণার অবস্থা যাচাই করা হয়। তিনি বলেন,
এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে সক্রিয়। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সূচক ২০৪.৮৯ পয়েন্ট। চীন ১৩৯.৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত বছর চীনের সূচক ছিল ১১৮.৩৮। এক্ষেত্রে চীন উন্নতি করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবধানও কমে যাচ্ছে। ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্স যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
দশটি গবেষণা বিষয়ের দিক থেকে, রসায়নবিদ্যা ও উপকরণ বিজ্ঞান, গণিতবিদ্যা, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকৃতি ও পরিবেশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে চীন বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে।
মোটের উপর বলতে গেলে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে গবেষণায় চীনের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। তবে দশটি প্রধান গবেষণার বিষয় উন্নয়নে চীনের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। ভবিষ্যত উন্নয়নের সুবিধা, চাপ ও চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি।
চীনের বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান পাই ছুন লি বলেন, মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণার মান এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব শক্তি উভয়ই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধির লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চাইলে, চীনের উচিত বিজ্ঞানের সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী সাফল্য অর্জন করা, দেশের কৌশলগত চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধান করা, উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা, উন্নয়নের জন্য সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানো এবং ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের দিক নির্ধারণ করা। তিনি বলেন, চীনের বিজ্ঞান একাডেমি 'ভবিষ্যত বিশ্বের কাঠামোর ওপর চীনের প্রভাবশালী গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি'সহ ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক থিংকট্যাংক গবেষণা প্রকল্প চালু করেছে। বিশ্বের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের সর্বশেষ অবস্থা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার দিক থেকে বিশ্বের উন্নয়নের ওপর প্রভাবশালী চীনের গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা করবে; যাতে দেশের বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন কৌশলের জন্য সেবা দেওয়া যায়।
(শুয়েই/তৌহিদ)