চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর প্রসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তার ভিত্তিহীন মন্তব্যের প্রতিবাদ করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
  2019-11-23 14:51:35  cri
নভেম্বর ২৩: চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ কাজ শুরুর ৬ বছরে পাকিস্তানের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থ বয়ে এনেছে। এই করিডোরে মুখে কালি দেওয়া দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের মন্তব্য হলো আজেবাজে কথা।

গতকাল (শুক্রবার) ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোরের মিডিয়া ফোরামে পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও চিং একথা বলেন।

তিনি বলেন, চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সম্পন্ন জ্বালানির প্রকল্প পাকিস্তানের মোট বিদ্যুত্ উত্পাদনের পরিমাণের প্রায় ৩০ শতাংশ যুগিয়েছে, যা পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়নে জ্বালানির নিশ্চয়তা যোগায়। কারাকোরাম দ্রুত গতির মহাসড়কের দ্বিতীয় প্রকল্প সম্প্রতি সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়। চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোরের আলোকে বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত বিশ্বের ব্যবসা সুবিধাকরণের সূচক দিকে পাকিস্তানের অবস্থান গত বছরের ১৩৬তম স্থান থেকে চলতি বছর ১০৮তম স্থান দখল করে। বিশ্বজুড়ে এর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সূচক ১০৮তম স্থান থেকে ৮০তম স্থানে উন্নীত হয়। ফলে বিদেশি পুঁজি আকর্ষণ করে শিল্পের উন্নয়নে ভালো শর্ত সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও আরো বলেন, চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের শুরু থেকে পাক জনগণের জন্য সরাসরিভাবে ৭৫ হাজারেরও বেশি এবং পরোক্ষভাবে ২ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

'পাকিস্তানের প্রতি চীনের শুধুমাত্র ঋণ দেওয়া, সাহায্য দেওয়া নেই' প্রসঙ্গে ওয়েলসের কথা নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন এবং পাকিস্তান হলো সার্বক্ষণিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার। অর্ধশতাব্দী ধরে চীন পাকিস্তানকে যথাযথ সাহায্য ও সমর্থন দিয়ে আসছে। কারাকোরাম দ্রুত গতির মহাসড়ক এবং পাকিস্তানের ক্রীড়া স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর প্রকল্প পাকিস্তানের উন্নয়নে অনেক সহায়ক হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

লিলি/টুটুল

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040