ইন্টারনেট খাতে 'বিশ্ব পঞ্চম প্রজন্ম সম্মেলন- ২০১৯' বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত
  2019-11-22 15:08:04  cri

নভেম্বর ২২: ইন্টারনেট খাতে 'প্রথম বিশ্ব ৫জি (ফাইভ জি) সম্মেলন-২০১৯' গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে '৫জি'র মাধ্যমে বিশ্বের পরিবর্তন ঘটানো এবং ৫জি'র মাধ্যমে নতুন ভবিষ্যত সৃষ্টি করা। বিশ্বের তথ্য ও টেলি-যোগাযোগ খাতের প্রভাবশালী বিজ্ঞানী ও শিল্পপতিরা এতে ৫জি-সংক্রান্ত প্রযুক্তি, শিল্পের প্রবণতা ও অ্যাপলিকেশনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বর্তমানে নতুন দফা প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও শৈল্পিক সংস্কার দ্রুততর হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি হিসেবে ৫জি মানুষের উত্পাদন ও জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলবে এবং মানবজাতির সব কিছু'র সঙ্গে সংযুক্তি ঘটাবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার পূর্বাভাস আগামী পাঁচ বছরে ৫জি বিশ্বের জিডিপি'র প্রবৃদ্ধিতে ৩০ লাখ কোটি মার্কিন ডলার অবদান রাখবে। ২০৩৫ সালে ৫জির বাজার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারে ছাড়িয়ে যাবে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

চীনের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিমন্ত্রী ওয়াং চি কাং বলেন, ৫জি উন্নয়নের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ৫জি'র গবেষণা, ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান দেখা যায়। তিনি বলেন,

'বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্থানীয় বিভাগের সঙ্গে ৫জি গবেষণা ও উন্নয়ন, ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের কাজ করে আসছে। চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম ও চায়না টেলিকমসহ নানা অপারেটর এবং হুয়াওয়েই ও জেডটিইসহ নানা টেলিকম প্রতিষ্ঠান ৫জি'র বিশ্বব্যাপী মানদণ্ড প্রণয়নে ইতিবাচকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তারা ৩জি ও ৪জি যুগের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৫জি'র প্রযুক্তিগত নব্যতাপ্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে; যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।

২০১৯ সালে চীন সরকার ৫জি'র বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে। এর মধ্য দিয়ে ৫জি'র বাণিজ্যিক পরিষেবা উন্মোচিত হয়। বর্তমানে নিখিল চীনে ৫জি'র বেস স্টেশনের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজারে ছাড়িয়ে যাবে। ৫জি প্যাকেজ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭০ হাজার। চীনের শিল্প ও তথ্যায়নমন্ত্রী মিয়াও ওয়েই বলেন, চীন বিশ্বের প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থাকে ৫জি'র সাফল্য ভাগাভাগি করতে স্বাগত জানায়। তিনি বলেন,

'চীন কখনও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাজারের কোটা নির্ধারণ করে না। যাই হোক না কেন, চীনা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিলামে সমতাসম্পন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। শিল্প ও তথ্যায়ন মন্ত্রণালয় সব নিলামের তত্ত্বাবধান করে এবং সমতা, ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উত্সাহ দেয়। যে কোনো প্রতিষ্ঠান ৫জি'র বাজারে নিজের অবস্থান উন্নত করতে চাইলে কেবল নিজের পণ্য ও পরিষেবা উন্নত করতে হবে। এ ছাড়া চীন বিশ্বের প্রতিষ্ঠান ও গবেষণাসংস্থার প্রতি চীনের ৫জি নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও ৫জি'র সাফল্য ভাগাভাগি করতে স্বাগত জানায়।

চীনে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের নেতা নিকোলাস ছাপুইস বলেন, "আমার মনে হয়, ৫জি প্রযুক্তি খাতে ইউরোপ ও চীনের সহযোগিতা একে অপরের জন্য কল্যাণকর। এ প্রযুক্তির কারণে সবার কল্যাণ হবে। বিশ্বব্যাপী সব সরবরাহকারীদের উচিত ৫জি উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালানো।

জানা গেছে, এবারের ৫জি সম্মেলনে ২০ লাখ বর্গমিটার আকারের প্রদর্শনী অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সর্বশেষ পণ্য ও প্রযুক্তি এখানে প্রদর্শন করছে।

(রুবি/তৌহিদ/আকাশ)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040