নভেম্বর ১৯: গত রোববার বাংলাদেশে চীনা চিকিত্সা দলের 'চিকিত্সা সহায়তা প্রকল্প' চালু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে চীনা দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে যাওয়া প্রথম চীনা চিকিত্সা দল এটি। এ দলে ইয়ুননান প্রদেশের 'প্রথম গণ-হাসপাতালের' ৮জন অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ইয়ুননান শাখার সম্পাদক চেন হাও, বাংলাদেশের দুর্যোগ পরিচালনা ও ত্রাণমন্ত্রী এনামুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জি মিং, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী মহাসচিব হাবিবুর রহমান খান, জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা অংশীদারি সংস্থার মহাপরিচালক আদেনেনে বেন হাজ আইসা এবং চীনা চিকিত্সা দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জি মিং অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নির্ভরযোগ্য প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে, চীন দু'পক্ষের বন্ধুত্বপূর্ণ সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সঠিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এখন প্রথম দফায় চীনা চিকিত্সক দল কক্সবাজারে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের চিকিত্সা সেবা দেবে। আশা করি, তারা ভালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
জনসংখ্যা ও উন্নয়ন-বিষয়ক দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা অংশীদারি সংস্থার মহাপরিচালক আদেনেনে বেন হাজ আইসা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য পরিচালনা প্রকল্পে চীনা চিকিত্সা দলের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ কার্যক্রম হলো রোহিঙ্গাদের শিগগিরি নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে চীন সরকারের নেওয়া প্রচেষ্টার অংশ, যা এক ধরনের মানবিক সমর্থন। এই কার্যক্রম রোহিঙ্গাদের দ্রুত রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী মহাসচিব হাবিবুর রহমান খান চীনা চিকিত্সা দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীনা চিকিত্সক দল বাংলাদেশি জনগণকে চিকিত্সা সেবা, নারী ও শিশুর সুস্বাস্থ্য, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গণসেবা-সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতে সেবা ও সাহায্য দেবে।
(শুয়েই/তৌহিদ)