দিক্যনিউজাই একটি গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়স থেকে পানশালায় গান গাইতে শুরু করেন। ২০ বছর বয়সে তিনি ট্রেন স্টেশনের কর্মী, কোম্পানির কর্মী এবং গিটার শিক্ষকের কাজ করেছেন। ২৫ বছর বয়সে তিনি 'রক' রেকর্ডস কোম্পানির কর্মী হিসেবেও কাজ করেছিলেন। ২৮ বছর বয়সের সময় তিনি পানশালায় গান গাইতেন।
১৯৯৬ সালে দিক্যনিউজাই-এর অ্যালবাম 'পাব মিলন ১' প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তাঁর সঙ্গীত জীবন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
১৯৯৭ সালে তাঁর অ্যালবাম 'পাব মিলন ২' এবং 'হংকং 'লাইভ ব্যান্ড ১' প্রকাশিত হয়। তা টানা ৫ সপ্তাহ ধরে হংকংয়ের অ্যালবাম বিক্রির তালিকার প্রথম দশে স্থান পায়।
১৯৯৮ সালে তাঁর অ্যালবাম 'হংকং লাইভ ব্যান্ড ১' প্রকাশিত হয়। তা টানা দশ বছর ধরে হংকংয়ের অ্যালবাম বিক্রির তালিকার প্রথম দশে স্থান পায়। একই বছরের জুন মাসে তিনি চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
১৯৯৯ সালের ১৩ জানুয়ারি, দিক্যনিউজাই-এর আরেকটি অ্যালবাম 'বিদায়' বাজারে আসে, তাও টানা দশ বছর ধরে হংকংয়ের অ্যালবাম বিক্রির প্রথম দশে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। একই বছরের ৫ মার্চ, দিক্যনিউজাই-এর অ্যালবাম 'আমাকে নাকি তাকে ভুলে যাবে' প্রকাশিত হয়। একই বছরের ১১ মে, দিক্যনিউজাই-এর আরেকটি অ্যালবাম 'কিংবদন্তী' রিলিজ হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত করা আছে 'কত ভালোবাসা পুনরায় আসতে পারে' নামে গানটি, তা দিক্যনিউজাই-এর সবচেয়ে বিখ্যাত গানের অন্যতম।
২০০০ সালের ১২ জানুয়ারি, দিক্যনিউজাই-এর অ্যালবাম 'তুমি আমাকে ভালোবাসো না' বাজারে আসে। একই বছরের এপ্রিল মাসে, তাঁর অ্যালবাম 'দিক্যনিউজাই-এর সব গানের সংগ্রহ' প্রকাশিত হয়।
২০০২ সালের ২৫ জুন, দিক্যনিউজাই বেইজিংয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে নতুন একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর তিনি চীনের নানছাং শহরে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি, দিক্যনিউজাই চীনের কুয়াংচৌ শহরে একটি ছোট আকারের সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর, তিনি চীনের শাংহাই শহরে 'ভালোবাসাকে ফিরিয়ে আনা' নামে বড় আকারের সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
২০০৪ সালের ২ এপ্রিল, দিক্যনিউজাই-এর অ্যালবাম 'আসল রং' প্রকাশিত হয়। ১১ মে তিনি বেইজিংয়ে 'আসল রং' অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিক্যনিউজাই-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)