বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্টদ্বয় একমত হন যে, চীন ও গ্রিস পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে, বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করতে, সভ্যতাবিষয়ক সংলাপ বেগবান করতে এবং দু'দেশের মেধাকে কাজে লাগিয়ে মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনে অবদান রাখতে ইচ্ছুক।
বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব শতাধিক বছরের পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। দু'দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে সহযোগিতা জোরদার করে আরও সমতাসম্পন্ন ও উপযোগী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সুসংবদ্ধ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সি চিন পিং বলেন, চীন ও গ্রিসের উচিত পারস্পরিক আস্থা ও কল্যাণ, চীন-ইউরোপ সহযোগিতা এবং সভ্যতা বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।
প্রোকোপিস পাভলোপৌলস বলেন, গ্রিস ও চীন উভয়েই সভ্য দেশ। গ্রিস 'সভ্যতার সংঘর্ষ' সংক্রান্ত মন্তব্যের বিরোধিতা করে। চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং বর্তমান চীনের উন্মুক্তকরণ ও উন্নয়ন সে মন্তব্যের পাল্টা জবাব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় সি চিন পিং বলেন, সদ্যসমাপ্ত চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় চীনের উন্মুক্তকরণ বাড়ানোর প্রতিজ্ঞা প্রতিফলিত হয়েছে। চীন গ্রিসের সঙ্গে 'এক অঞ্চল, এক পথ' সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আকার সম্প্রসারণ, বিদ্যুত, টেলিযোগাযোগ, প্রক্রিয়াজাত শিল্প ও ব্যাংকিংসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।
(রুবি/টুটুল/শিশির)