"ডাস্ট সিলস প্রাচীন আফগান কালচারাল রিলিক্স" হংকং জাদুঘরের ইতিহাসের অন্যতম প্রধান প্রদর্শনী। আফগানিস্তানের জাতীয় জাদুঘর থেকে ২৩১টি মূল্যবান নিদর্শন এখানে আনা হয়। প্রদর্শনীতে দেখা যায়, আফগানিস্তান ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলি প্রাচীন গ্রিস, প্রাচীন ভারত এবং ব্রোঞ্জ যুগ থেকে প্রথম শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচীন রোমের মতো বিদেশি সংস্কৃতির গভীর প্রভাব রয়েছে। প্রদর্শনীতে সিল্ক রোড সংস্কৃতিও উপস্থাপিত হয়। সিল্ক রোডের অন্যতম কেন্দ্র হিসাবে আফগানিস্তানে বিভিন্ন সংস্কৃতির গভীর প্রভাব রয়েছে। আফগানিস্তানের তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপমন্ত্রী মোহাম্মদ বাওয়ারি বলেন, আফগানিস্তান প্রাচীন সভ্যতার অংশ হিসাবে বিশ্বজুড়ে অনেক পণ্ডিতের কাছে পরিচিত। বিভিন্ন সভ্যতার সঙ্গে আমাদের খুব ভাল সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। তাই আমরা আমাদের সংস্কৃতিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রভাব দেখতে পাই। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকরা তা দেখতে পাবেন। আমরা এখানে বিভিন্ন উদাহরণ দেখতে পাচ্ছি এবং ঐতিহাসিকভাবে চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রদর্শন করছি।
আফগানিস্তানের জাতীয় যাদুঘরের পরিচালক মুহাম্মদ রহিমির মতে, এই প্রদর্শনী ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটি ইউরোপ, আমেরিকা, ওশেনিয়া এবং এশিয়ার ২৮ টি যাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছে, যেখানে ৩ মিলিয়েনেরও বেশি দর্শক হয়েছে। রহিমি বলেন, এই প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, আফগানিস্তান ও বিশ্বের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় পুনর্নির্মাণ ও একত্রীকরণ এবং বিশেষত ভালো প্রতিবেশী হওয়ার আশাবাদ। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীটি খুবই বিখ্যাত এবং এটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আশা করি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আফগানিস্তানের ভিন্ন রূপ দেখা যাবে। সাধারণত, মানুষ গণমাধ্যমে দেখে, দেশে যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও অনেক সমস্যা রয়েছে। প্রদর্শনীটি যখন বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করে, তখন এটি আফগানিস্তানের প্রতি মানুষের ধারণার পরিবর্তন করে। লোকেরা বুঝতে পারে, ইতিহাসে আফগানিস্তান খুব বিখ্যাত দেশ ছিল। আর এ দেশের ভবিষ্যত এমন যে, এতে অবকাঠামো নির্মাণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল সরকারের অবসর ও সাংস্কৃতিক সেবা বিভাগ এবং আফগানিস্তানের জাতীয় জাদুঘর এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আগামী বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।