মেলায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি রাজনৈতিক মহল এবং বিদগ্ধ সমাজের লোকেরা তাঁর ভাষণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তারা সম্মিলিতভাবে বাণিজ্য ও পুঁজিবিনিয়োগের উদারীকরণ ও সুবিধাকরণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমদানি মেলার এই প্লাটফর্মের সাহায্যে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা যাবে এবং মানবজাতির উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে বলে তারা এই আশা প্রকাশ করেন।
আমন্ত্রিত হয়ে দ্বিতীয় আমদানি মেলায় অংশগ্রহণকারী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকখোঁ বলেন, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্ততার ৪০ বছরের মধ্যে যে লক্ষ্যণীয় সাফল্য অর্জিত হয় তা মানবজাতির ইতিহাসের বৃহত্তম মহান ঘটনা।
চীনের সফলতা নিজের প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করা ছাড়াও, অর্থনীতির বিশ্বায়ন থেকে উপকৃত হয়। চীনের সফলতায় প্রমাণিত হয় যে, বিশ্বের কাছে চীনের উন্মুক্ততা প্রয়োজন এবং চীনের কাছে বিশ্বের উন্মুক্ততা প্রয়োজন। তিনি বলেন,
'সংস্কার ও উন্মুক্ততায় অবিচল থাকা হলো বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্যসম্পন্ন। প্রেসিডেন্ট সি'কে ধন্যবাদ জানাই। এখানে প্রথম আমদানি মেলার অর্জিত অগ্রগতি শেয়ার করা ছাড়াও, ভবিষ্যতে চীনের উন্মুক্ততায় অবিচল থাকার দিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়। এতে প্রেসিডেন্ট সি এবং চীনা জনগণের দূরদর্শিতা প্রমাণিত হয়। যা মানবজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত ও মহান অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার হয়ে উঠবে।'
আমদানি মেলায় সৌদি আরবের শিল্প ও জ্বালানিমন্ত্রী বান্দার ইব্রাহিম আলখোরায়েফ সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, প্রেসিডেন্ট সি'র ভাষণে চীনের উন্মুক্ততা সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণের দিক স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। তিনি বলেন,
'ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, ভবিষ্যতে চীন আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্র বিশেষ করে পণ্যের আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা যে গভীরতর করবে তা আমার মনে গভীর দাগ কাটে। চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য উন্নয়ন ও বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম বাজার অধিকার করে।'
ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন আমদানির ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করবে, শুল্ক ও ব্যবস্থাগত খরচ হ্রাস করবে, আমদানি বাণিজ্যের সৃজনশীলসংক্রান্ত পরীক্ষামূলক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে এবং বিভিন্ন দেশের উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবার আমদানি বাড়াবে। এ প্রসঙ্গে নোবেল বিজয়ী ও লন্ডন রাজনীতি ও সমাজ একাডেমির অধ্যাপক ক্রিস্টোফার এ.পিসারিদেস বলেন,
'চীনে আর্থ-বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে বিদেশি ব্যবসায়িকে স্বাগত জানায়। চীনের বাজারের সম্ভাবনা অসীম বলে আমি মনে করি।'
ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, গত বছরের আমদানি মেলায় ঘোষিত চীনের বৈদেশিক উন্মুক্ততা সম্প্রসারণের ৫ ক্ষেত্রের ব্যবস্থা প্রায়ই বাস্তবায়িত হয়েছে। চীন নিজের কথা মেনে চলে।
জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্দ্রু হোলনেস মনে করেন, আমদানি মেলার আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সাফল্য ভাগাভাগি করার দৃষ্টিভঙ্গি দেখা দেয়। তিনি বলেন,
'আমদানি মেলায় সহনশীল চেতনা তুলে ধরা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের সুযোগ স্বাগত জানায় জামাইকা।'
লিলি/টুটুল