মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশুনার সময় লুই ফাং কিশোরদের সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশ নেন। তার প্রতিভা দেখে হংকংয়ের সঙ্গীত শিক্ষাবিদ তাই সি ছুং তার সঙ্গীত শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এভাবে লুই ফাং-এর শিল্পীজীবন শুরু হয়।
১৯৮৪ সালে লুই ফাং হংকংয়ের নতুন কন্ঠশিল্পীর সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। প্রতিযোগিতার পর লুই ফাং হংকংয়ের নিজস্ব সঙ্গীত কোম্পানি হুয়াসিংয়ে যোগ দেন।
১৯৮৫ সালে লুই ফাং-এর প্রথম অ্যালবাম 'যে কথা শোনা যায় না' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের থিং সং 'যে কথা শোনা যায় না' সেই বছরের শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার গানের পুরস্কার লাভ করে।
১৯৯১ সালে লুই ফাং ওয়ার্নার রেকর্ডসে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে তার প্রথম ক্যান্টোনিজ ভাষার অ্যালবাম 'আকাশের চাঁদ' বাজারে আসে। এর মধ্যে প্রধান গান 'আকাশের চাঁদ'-এর জন্য লুই ফাং-এর সঙ্গীতজীবন আরও সমৃদ্ধ হয়। একই বছর লুই ফাং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৯৪ সালে লুই ফাং-এর অ্যালবাম 'ভবঘুরে ফুল' প্রকাশিত হয়। একই বছর তাঁর আরেকটি অ্যালবাম 'একজনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হতে চাই' বাজারে আসে।
১৯৯৫ সালে লুই ফাং-এর অ্যালবাম 'একবার ভালোবাসলে একবার কাঁদবো' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের অন্যতম গান 'কেঁদো না বন্ধু' বিশেষভাবে সারা চীনে অনেক জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৯৬ সালে লুই ফাং টিভি সিরিজ 'নতুন শাংহাই শহরে' অভিনয় করেন।
২০০০ সালে লুই ফাং হংকংয়ের টিভিবি চ্যানেলে টিভি সিরিজ 'স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে'-তে অভিনয় করেন।
২০০২ সালে লুই ফাং প্রেমের চলচ্চিত্র '১৫ দিনের প্রেম'-এ অভিনয় করেন।
২০০৫ সালের ৫ ও ৬ মার্চ লুই ফাং চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের কুয়াংচৌ শহরে আয়োজিত এক বড় আকারের সঙ্গীতানুষ্ঠানে 'আকাশের চাঁদ' এবং 'যে কথা শোনা যায় না' পরিবেশন করেন।
২০০৭ সালের ৯ থেকে ১৩ মার্চ লুই ফাং চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে টানা চারটি সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
২০১৩ সালের ২৯ জুন আবারও চীনের কুয়াংচৌ প্রদেশে লুই ফাং 'বন্ধু, কেঁদো না; আমি ফিরে এসেছি' নামের সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। এটা হল ২০ বছর পর লুই ফাং-এর আবার কুয়াংচৌয়ে আয়োজিত সঙ্গীতানুষ্ঠান।
২০১৪ সালের মে মাসে লুই ফাং প্রথমবারের মতো কানাডায় সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। এবারের সঙ্গীতানুষ্ঠান ৫ সহস্রাধিক ভক্তকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লুই ফাং সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)