হেংছিন অবাধ বাণিজ্য এলাকার ভৌগলিক সুবিধা আছে, উন্নয়নের ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল: বাংলাদেশের সাংবাদিক
  2019-10-25 16:30:33  cri

 

গত সোমবার তৃতীয় '২১ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ' চীন (কুয়াংতুং) আন্তর্জাতিক সম্প্রচার ফোরামের প্রাক্কালে 'এক অঞ্চল, এক পথ' সংশ্লিষ্ট ১৪টি দেশের প্রধান প্রধান তথ্যমাধ্যমের সাংবাদিকরা চীনের চু হাই শহরের হেং ছিন অবাধ বাণিজ্য এলাকা পরিদর্শন করেন।

চু হাই শহরের হেং ছিন অবাধ বাণিজ্য এলাকা হল চীনের কুয়াংতুং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষা এলাকার অন্যতম এক অংশ। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে, চীনের হংকং-চুহাই-ম্যাকাও সেতু চালু হওয়ার কারণে ভৌগলিক দিক থেকে চুহাই শহর আরো গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে।

বাংলাদেশের 'ডেইলি সান' পত্রিকার সাংবাদিক এনামুল হাসান বলেন, তিনি এই প্রথমবারের মত চীনের কুয়াংতুং প্রদেশ এসেছেন। এর আগে তিনি কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরের কথা শুনেছেন, স্বচোখে দেখার পর চীনের সৃষ্ট বিভিন্ন বিস্ময় তার মনে খুব গভীর ছাপ ফেলেছে। এখানে ভবিষ্যতে বিশ্বের অর্থনীতির কেন্দ্র হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

ক্যাপশন: বাংলাদেশের 'ডেইলি সান' পত্রিকার সাংবাদিক এনামুল হাসান চুহাই শহরের হেংছিন পরিকল্পনা প্রদর্শনী হলে ভার্চুয়াল আকাশ ভ্রমণ অনুভব করছেন

হাসান বলেন, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে চীন অনেক বড় বড় প্রকল্প চালু করেছে, এতে সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুত্ এবং টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। তা দু'দেশের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নের জন্য সক্রিয় অবদান রেখেছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে তা বাংলাদেশের জিডিপিতে এক শতাংশ অবদান রাখতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।

সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে বিদেশি সাংবাদিকরা জানতে পেরেছেন, বর্তমানে হেংছিনের বাণিজ্যিক পরিবেশ বিশ্বের প্রথম ৩০-এ স্থান পায়। এর মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা, বিদ্যুত্ এবং চুক্তি বাস্তবায়ন এই তিন উপাদান নিয়ে হেংছিন বিশ্বের প্রথম দশে প্রবেশ করেছে। বাণিজ্যিক পরিবেশের ক্ষেত্রে চীনের ম্যাকাও এবং হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের মত উন্নত এলাকার সঙ্গে হেংছিনের ব্যবধান কমে যাচ্ছে। (শুয়েই/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040