অপ্রাপ্তবয়স্ক সুরক্ষার দু'টি মৌলিক আইন সংশোধন করবে চীন
  2019-10-22 14:18:28  cri
অক্টোবর ২২: চীনের আইন প্রণয়ন সংস্থা—জাতীয় গণকংগ্রেসের (এনপিসি) স্ট্যাডিং কমিটি গতকাল (সোমবার) অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা আইন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক অপরাধ প্রতিরোধ আইনের সংশোধন খসড়া যাচাই শুরু করেছে। গত শতাব্দীর নবম দশকে মৌলিক দু'টি আইন প্রকাশিত হয়। সাত বছর আগে আইন দু'টি সংশোধন করা হয়েছিল। এবার সংশোধনের খসড়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কের সুরক্ষা ও অপরাধের নতুন অবস্থা ও নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নতুন নিয়ম উল্লেখ করা হয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয়ে কিছু কথা বলবো।

অপ্রাপ্তবয়স্ক সুরক্ষা আইন হলো চীনের অপ্রাপ্তবয়স্ক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বহুমুখী একটি আইন। আইনে অপ্রাপ্তবয়স্কের অধিকার ও তাদেরকে রক্ষার মৌলিক নীতি তুলে ধরা হয়। সোমবার আয়োজিত ত্রয়োদশ এনপিসি'র স্ট্যাডিং কমিটির চতুর্দশ সম্মেলনে এনপিসির সামাজিক নির্মাণ কমিশনের পরিচালক হ্য ই থিং সংশোধনের খসড়া সম্পর্কে বলেন, 'সংশোধিত খসড়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সর্বাধিক সহায়ক নীতি যোগ করা হয়। পিতা-মাতা বা অন্যান্য অভিভাবকের দায়িত্ব প্রথমে শক্তিশালী করা হয় এবং পিতামাতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্কদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খুঁজে বের করতে বাধ্যতামূলক রিপোর্টিং ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়।'

বাধ্যতামূলক রিপোর্টিং ব্যবস্থা অপ্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল নয় এবং আইনি অধিকার ও স্বার্থ লঙ্ঘন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে যে কোনো সংস্থা ও ব্যক্তিসম্পর্কিত বিভাগে প্রতিবাদ জানানো ও অভিযোগ করার অধিকার আছে। এ ধরনের প্রতিবেদন বা অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে অতিরিক্ত নির্ভরশীল যুবকের হার ৬ শতাংশ। কিন্তু চীনে এ ধারণের যুবকদের হার ১০ শতাংশ। বিভিন্ন মহল এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের অনুরোধ জানিয়েছে। এ সম্পর্কে সংশোধনের খসড়ায় 'ইন্টারনেট সুরক্ষা'র বিশেষ নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরকে আনলাইন ও অফলাইনে সার্বিক সুরক্ষা দেওয়া যায়। এ সম্পর্কে হ্য ই থিং বলেন,

'ইন্টারনেট খাতে ইন্টারনেটে সুরক্ষার ধারণা, ইন্টারনেটভিত্তিক পরিবেশ পরিচালনা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব, ইন্টারনেট তথ্য পরিচালনা, ব্যক্তিগত ইন্টারনেট তথ্য সুরক্ষা ও নেটওয়ার্ক আসক্তি প্রতিরোধের বিষয়টি নিয়মিত হয়েছে।'

খসড়ায় বলা হয়, ইন্টারনেট পণ্য ও সেবা সরবরাহকারীদের উচিত অপ্রাপ্তবয়স্কদের আসক্তিযুক্ত বিষয়ের প্রচার-প্রচারণা এড়িয়ে যাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সময়, সীমা নির্ধারণ করা, যাতে পিতা ও মাতা সহজে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুবিধার্থে সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় পরিষদ বিস্তারিত ব্যবস্থা নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়া, খসড়ায় ঘনিষ্ঠভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিল্পের তদন্ত ও নিষেধাজ্ঞার নিয়ম লেখা হয়। খসড়া অনুযায়ী যৌন নিপীড়ন, অপব্যবহার ও সহিংসতার মতো অপরাধের রেকর্ডধারী ব্যক্তিরা, অপ্রাপ্তবয়স্কদের শিল্পে কাজ করতে পারে না।

এ খসড়ার আইনি ভিত্তি ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়। খসড়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কের খারাপ আচরণমূলক কাজ, অত্যন্ত খারাপ আচরণ ও অপরাধী আচরণ এ তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের আচরণসংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া কোন কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক বার বার ভুল করে অপরাধের পথে পা বাড়ানোর সমস্যা নিয়ে খসড়ায় নতুন নিয়ম যুক্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে হ্য ই থিং বলেন,

'খসড়ায় বলা হয়, গণনিরাপত্তা সংস্থা আটটি প্রশিক্ষণমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। গুরুতর খারাপ আচরণ করা এবং শিক্ষা গ্রহণ না করা অপ্রাপ্তবয়স্কদেরকে বিশেষ স্কুলে পাঠিয়ে বিশেষ শিক্ষা দেওয়া হবে।'

(ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040