পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে, চীনে ১.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের কর ও বিভিন্ন ধরনের ফি কমানো হয়। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর বিভাগের কর্মকর্তা সুই কুও ছিয়াও বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, কর ও বিভিন্ন ফি কমানো চলতি বছর চীনের আর্থিকনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে করহ্রাসসহ পাঁচ ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন,
"চলতি বছর চীনের কর ও বিভিন্ন ফি কমানোর আকার অভূতপূর্ব। চলতি বছর সরকারের কর্ম-প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোটা বছরে শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে কর ও সামাজিক বীমার ফি বাবদ প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের বোঝা কমানো হবে। এই পর্যন্ত আমরা দেখছি, পুরো বছরে কর ও ফি কমানোর পরিমাণ পরিকল্পনার চেয়েও বেশি হতে যাচ্ছে।"
সুই কুও ছিয়াও বলেন, বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায়, বর্তমানে বিভিন্ন কর ও ফি কমানোর সিদ্ধান্ত স্থিতিশীলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা বাজারকে আরও প্রাণচঞ্জল করেছে; বাজারের আস্থা ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির প্রবণতাকে জোরদার করেছে; কার্যকরভাবে শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়ের বোঝা কমিয়েছে। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্পাদনশিল্পসহ প্রধান প্রধান শিল্পের ওপর করের বোঝা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে, স্থাপত্য ও সড়ক পরিবহনশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের ওপর করের বোঝা কিছুটা কমেছে। আর অন্যান্য শিল্পের ওপর কর বাড়েনি। তিনি বলেন,
"ইনক্লুসিভ ও কাঠামোগত—এই দুই পদ্ধতিতে কর কমানোর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোরে ওপর থেকে করের বোঝা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা বেসরকারি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে সমর্থন যুগিয়েছে। যে কর কমানো হয়েছে, সেই পরিমাণ অর্থ এখন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো পুনঃবিনিয়োগ করতে পারে, যা কার্যকরভাবে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে ও করবে। এ ছাড়া, কর ও ফি কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে; তাদের ভোগের সামর্থ্যও বেড়েছে।"
সুই কুও ছিয়াং জানান, অর্থনীতিতে কর ও ফি কমানোর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে ও হচ্ছে। শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো এতে সরাসরি উপকৃত হয়েছে এবং ন্যায়সংগত সুবিধা পেয়েছে। তিনি বলেন,
"ভবিষ্যতে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করবে, অব্যাহতভাবে বিভিন্ন শিল্পে করহ্রাসের সম্ভাবনার ওপর নজর রাখবে, ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করবে। পাশাপাশি, অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নীতি বাস্তবায়নের ফল যাচাই করবে এবং সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নীতি ও ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করবে।" (শুয়েই/আলিম)