বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় থাই চেং সিয়াও সঙ্গীত সম্বন্ধে অনেক আগ্রহী ছিলেন। তখন তিনি একাধিকবার তাইওয়ান প্রদেশের বিভিন্ন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। একবার তার নিজের রচনা একটি রক গান 'উপায় নেই' সঙ্গীত কোম্পানির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতের জীবন শুরু করেন।
১৯৮৮ সাল থাই চেং সিয়াও-এর জীবনের একটি বিশেষ বছর। ঠিক এই বছর তার সঙ্গীতজীবন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ১৯৯১ সালে থাই চেং সিয়াও সঙ্গীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৯৩ সালে থাই চেং সিয়াও-এর অ্যালবাম 'একটি অক্ষর খুঁজতে চাই' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের অন্যতম গান '৯৯৯টি গোলাপ ফুল' ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটিড শুধু চীনা ভাষায় প্রেমের গানের প্রতিনিধিত্বশীল গানে পরিণত হয়েছে তা নয়, বরং এই গানের কারণে থাই চেং সিয়াও 'প্রেমের রাজকুমার' উপাধিও পেয়েছেন।
সঙ্গীতমহলে বিখ্যাত হওয়ার পর থাই চেং সিয়াও যথাক্রমে 'তোমার কথা মনে পড়ে', 'হৃদয়ের কথা তোমাকে শোনাবো'সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গান রিলিজ করেন।
১৯৯৪ সালে থাই চেং সিয়াও হংকংয়ের সঙ্গীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে হংকংয়ের সঙ্গীতবাজারে প্রবেশ করেন। তিনি বিশেষ করে 'তোমার কথা মনে পড়ে' অ্যালবাম রিলিজ করেন।
১৯৯৫ সালে থাই চেং সিয়াও 'হৃদয়ের কথা তোমাকে শোনাবো' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে থাই চেং সিয়াও-এর বিয়ে হয় এবং সেই বছর তার আরেকটি অ্যালবাম 'আরও একশ' বছর অপেক্ষা করবো' রিলিজ হয়।
২০০৩ সালে থাই চেং সিয়াও 'রক রেকর্ডস' সঙ্গীত কোম্পানিতে যোগ দিয়ে 'দুই দিকে' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছরের অক্টোবর মাসে তার প্রথম চলচ্চিত্র 'এটাই হল ভালোবাসা' সিঙ্গাপুরের সিনেমা হলে রিলিজ হয়।
২০০৪ সালের ২৭ অগাস্ট থাই চেং সিয়াও 'সুপার শো' নামের সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
২০০৫ সালে থাই চেং সিয়াও নিজেই একটি মিউজিক স্টুডিও স্থাপন করেন। একই বছরের ২ জুন তার আরেকটি অ্যালবাম 'নীল রংয়ের শামুক' প্রকাশিত হয়।
২০০৬ সালে থাই চেং সিয়াও 'আগামীকালের সাংগ্রি-লা' গানটি প্রকাশ করেন।
২০০৮ সালে থাই চেং সিয়াও-এর আরেকটি অ্যালবাম 'আমার প্রাপ্য নয়' প্রকাশিত হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী থাই চেং সিয়াও-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)