'হিমালয় অতিক্রমকারী মৈত্রীকে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করা' শীর্ষক প্রবন্ধে সি চিন পিং বলেন, ১৯৫৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই দু'দেশ পরস্পরকে সম্মান, বিশ্বাস, ও সমর্থন করে আসছে।
তিনি বলেন, পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দু'দেশ পরস্পরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। নেপাল দৃঢ়ভাবে 'এক চীননীতি' মেনে চলছে এবং চীনও নেপালের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধী। চীন দৃঢ়ভাবে নেপালের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও অখণ্ডতাকে সমর্থন করে।
সি চিন পিং প্রবন্ধে বলেন, নেপাল দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। গত বছর দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট মূল্য ছিল ১১০ কোটি মার্কিন ডলার। নেপালে চীনের পুঁজি বিনিয়োগ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বস্তুত, চীন ও নেপাল পরস্পরের ভাই। ২০০৮ সালে চীনের ওয়েনছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পের নেপালি সরকার ও জনগণ চীনকে অনেক সাহায্য দিয়েছে। আবার ২০১৫ সালে নেপালের ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর চীন সরকার ও জনগণ বড় আকারের উদ্ধার ও ত্রাণ তত্পরতা চালিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, দু'দেশের উচিত কৌশলগত বিনিময় বাড়ানো, বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা, এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা। চীন নেপালের মেধাবী তরুণ-তরুণীদের আরও বেশি বৃত্তি দেবে। পাশাপাশি, চীন অব্যাহতভাবে নেপালের দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্নির্মাণকাজে সাহায্য অব্যাহত রাখবে এবং সেদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, চীন নেপালের সঙ্গে আইন প্রয়োগসংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকাজে সহযোগিতা করবে, দু'দেশের বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বিনিময় বাড়াবে, মানবিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে। দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীর ভিত্তিতে বিনিময় ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ করলে দু'দেশই উপকৃত হবে। (শুয়েই/আলিম)