সি চিন পিং বলেন, চীন সবসময় পাকিস্তানকে চীনের কূটনীতিতে অগ্রাধিকার দেয়। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও বরাবরই চীন দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে চীন পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত ও বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা জোরদার করবে এবং নতুন যুগে আরও ঘনিষ্ঠ চীন-পাক অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলবে।
সি চিন পিং আরও বলেন, দু'দেশের উচিত উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় ও কৌশলগত যোগাযোগ বাড়ানো, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পারস্পরিক সমন্বয় জোরদার করা, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত করা। চীন পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করে। দু'দেশের উচিত জাতিসংঘ এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থাসহ বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
জবাবে ইমরান খান গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সি চিন পিংকে আভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চীন উন্নয়নের ক্ষেত্রে অতুলনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। একজন ভালো বন্ধু হিসেবে পাকিস্তান এতে আনন্দিত। পাকিস্তান চীনের সঙ্গে বিনিময়, সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত করতে, এবং যৌথভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেত ইচ্ছুক। পাকিস্তান অব্যাহতভাবে সন্ত্রাসদমন অভিযান চালাবে এবং শান্তি ও স্থিতিশীতা রক্ষা করবে বলেও জানান ইমরান খান। (শুয়েই/আলিম)