ছাই ই চি ১৯৬৫ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন, আর ছাই ই চিয়ে ১৯৬৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন; তারা দুই ভাই। ব্যান্ডের আরেক সদস্য সু জি উই ১৯৬৬ সালের ৩ মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই অন্য দু'জনের সঙ্গে পরিচিত।
১৯৮৫ সালে তিনজন 'ছাও মেং' নামের দলটি গঠন করে হংকংয়ের চতুর্থ নতুন কন্ঠশিল্পীর প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তারা 'একসাথে সামনে দৌড়াবো' নামের গান পরিবেশ করে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করতে সক্ষম হন। পরে তাদের প্রতিভা দেখে হংকংয়ের বিখ্যাত এবং খুব মর্যাদাপূর্ণ কন্ঠশিল্পী মেই ইয়ান ফাং তাদেরকে সঙ্গীতজগতে প্রবেশের সুযোগ দেন। তারা মেই ইয়ান ফাংকে সম্মান করে 'শিক্ষক' হিসেবে ডাকেন।
১৯৮৫ সালে মেই ইয়ান ফাং হংকংয়ে তার প্রথম ব্যক্তিগত সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। তখন ছাও মেং সঙ্গীতব্যান্ড প্রথমবারের মতো মেই ইয়ান ফাং-এর সঙ্গে একই মঞ্চে গান পরিবশন করে।
১৯৮৭ সালে ছাও মেং ব্যান্ডটি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের কাজ করে। তাদের প্রথম চলচ্চিত্রের নাম 'খুশি হলে কথা বলবে না'। পরে তারা 'পলিগ্রাম' সঙ্গীত কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৮৮ সালে 'ছাও মেং' ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম 'ছাও মেং' প্রকাশিত হয়। ব্যান্ডটি হংকংয়ের সঙ্গীতমহলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডেও পরিণত হয়। পরের বছর ব্যান্ডটি বিভিন্ন সঙ্গীত-পুরস্কারও লাভ করে।
১৯৯০ সালে 'ছাও মেং' ব্যান্ডটি চীনের তাইওয়ান প্রদেশে প্রবেশ করে এবং 'লোনলি', 'পুরোনো অ্যালবাম'সহ বিভিন্ন গান রিলিজ করে।
১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত 'ছাও মেং' টানা ছয় বছর ধরে রেডিও সঙ্গীত তালিকার 'শ্রেষ্ঠ ব্যান্ডের' পুরস্কার পায়। ১৯৯৬ সালের জুলাই 'ছাও মেং'-এর অ্যালবাম 'grasshopper shop' বাজারে আসে এবং একই বছরে ছাও মেংয়ের 'পলিগ্রামের' সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়।
২০০০ সালে 'ছাও মেং' ব্যান্ডের তিন সদস্য আলাদাভাবে অ্যালবাম প্রকাশ করতে শুরু করে। ২০০৫ সালে 'ছাও মেং'-এর তিন সদস্য আবার এক হয়ে বিএমএস সঙ্গীত কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং আবার সঙ্গীতমহলে প্রাণচঞ্জল হয়ে ওঠে। একই বছর তাদের গান 'আমরা' রেডিও সঙ্গীত তালিকার 'সঙ্গীতব্যান্ডের' রৌপ্য পুরস্কার পায়।
২০১০ সালে 'ছাও মেং' ব্যান্ড গঠনের ২৫তম বার্ষিকীতে ব্যান্ডটি সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করে।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় সঙ্গীতব্যান্ড ছাও মেং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং ব্যান্ডের কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)