ভিতালি মোনকেভিছ বেশ কয়েকবার চীন সফর করেন এবং চীন-রাশিয়া নানা সংস্থার সাংস্কৃতিক, বিনিয়োগ ও আইনবিষয়ক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এবারের বৈঠকে তিনিও অংশ নেবেন। তিনি বলেন,
"নিয়মিত বৈঠকে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবো। সমিতির অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে চীন-রাশিয়া যৌথ বিনিয়োগকারী কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাশিয়াতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। বর্তমানে ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেতে আগামীতে আরও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ধরনের কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। চলতি বছর আমরা চীনের সঙ্গে ধারাবাহিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আসন্ন চীন-রাশিয়া প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের বৈঠক স্থানীয় সহযোগিতার জন্য সহায়ক হবে এবং স্থানীয় সহযোগিতা বর্ষ ফলপ্রসূ হবে বলে আমরা আস্থাবান।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী ও চীন-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর মস্কোয় জাকজমকপূর্ণভাবে 'চীনা উত্সব' অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। উত্সব চলাকালে বাণিজ্যিক ফোরাম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চীনের সুষ্ঠু ঐতিহাসিক সংস্কৃতি প্রদর্শন করা হয়। এ উত্সবের আওতায় অনুষ্ঠিত ডিজিটাল অর্থনীতি-সীমারেখাহীন উন্নয়ন' শিরোনামে বাণিজ্যিক ফোরামে সিআরআইয়ের সংবাদদাতাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ভিতালি মোনকেভিছ বলেন,
'প্রথমে আমি চীনা জনগণকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাই। এটিও আমাদের দু'দেশের জনগণের অভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উত্সব। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম দেশ হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে স্বীকৃতি দেয়। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীই দু'দেশের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। বর্তমানে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ ধরনের বাস্তব সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেবে বলে আমি আশা প্রকাশ করি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে 'পূর্ব দিকে তাকানো' স্পিরিট রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলের অন্যতম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পঞ্চম পূর্ব অর্থনৈতিক ফোরামে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে 'বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণচঞ্চল অঞ্চল' হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বেশ কয়েকবার চীন সফর করা ভিতালি মোনকেভিছ চীনের পরিবর্তন নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
'যাই হোক না কেন সড়ক বা রেল পরিবহণ, আমার ওপর চীনের পরিবহণ ব্যবস্থা খুব ছাপ ফেলে। চীনের রেলব্যবস্থা বিমানের মতো দ্রুত। সড়ক পরিবহণের নেট সারা চীনে ছড়িয়েছে, যা লজিস্টিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে চীন ও রাশিয়া প্রেসিডেন্টদ্বয়ের উত্থাপিত ২০২৪ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিমাণ ২০ হাজার লাখ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য প্রসঙ্গে ভিতালি মোনকেভিছ বলেন,
'যে কোনো লক্ষ্য বাস্তবায়ন সহজ নয়। নতুন লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চাইলে মহাকারে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কোম্পানিকে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নিতে হবে।
রাশিয়ার এশীয় শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা সমিতির দায়িত্ব চীন-রাশিয়া স্থানীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির জন্য যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করা। এ দায়িত্ব পালনে আমরা 'চীনা উত্সব'র মতো আরও অনুষ্ঠান আয়োজন করবো। (রুবি/টুটুল/শিশির)