প্রস্তাবে ছেন সুই বলেন, বিভিন্ন দেশের বাস্তবতা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের সফলতার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে, উন্নয়ন মানবিধাকার বাস্তবায়ন ও অর্জনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদ ছড়িয়ে পড়ছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ক্ষতি করছে। বিশ্বে উন্নয়ন-অধিকার বাস্তবায়ন নির্ধারিত মানে হচ্ছে না। বিভিন্ন দেশের উচিত জাতিসংঘের 'উন্নয়ন-অধিকার ঘোষণা' অনুসরণ করে উন্নয়ন-অধিকার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা এবং এর মাধ্যমে প্রত্যেকের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা।
ছেন সুই আরও বলেন, জনগণের সুখী জীবন হলো সর্বোচ্চ মানবাধিকার। মানবজাতিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দারিদ্র্যমুক্ত করতে ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের উচিত 'জাতিসংঘ সনদ'-এ অবিচল থাকা, ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো, অর্থনীতির সহনশীল ও টেকসই প্রবৃদ্ধি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা, জনগণকে উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করা, সকল মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা, এবং যৌথভাবে মানব জাতির অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার নির্বাহী পরিষদের ৪২তম সম্মেলন গত ৯ সেপ্টেম্বর জেনিভায় শুরু হয়। (শুয়েই/আলিম/জিনিয়া)