সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত লি প্রথমে স্পিকারের কাছে চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লি চান শু'র শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংসদ দেশটির রাজনৈতিক জীবন ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশ সফরের সময় স্পিকারের সঙ্গে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও দু'দেশের নীতি প্রণয়নকারী সংস্থার সহযোগিতা জোরদারসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি দু'দেশের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করতে ইচ্ছুক।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন রাষ্ট্রদূত লি'র মাধ্যমে চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লি চান শু'র কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং রাষ্ট্রদূত লি'কে অভিনন্দন জানান। তিনি তাঁর বেশ কয়েকবারের চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, চীন বাংলাদেশের সুপ্রতিবেশি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার বিনিময় অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক আস্থাও গভীর হয়েছে। বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে চায়। দু'দেশ নানা স্তরের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার মধ্যকার সহযোগিতা জোরদার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। (রুবি/টুটুল/শিশির)