ছোটবেলা থেকেই তিনি সঙ্গীত সম্বন্ধে অনেক আগ্রহী ছিলেন। মাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নকালে তিনি ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিখতে শুরু করেন। উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি শেন ইয়াং কনজাভেটরি অব মিউজিকের সুর রচনা বিভাগে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় ওয়াং সু লুং নিজের রচিত গান বিভিন্ন সঙ্গীত ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন এবং বেশ কয়েকটি সঙ্গীততালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেন। একটি সঙ্গীত কোম্পানি তাঁর প্রতিভা দেখে তার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
২০১০ সালের ১৪ মে ওয়াং সু লুং-এর প্রথম অ্যালবাম 'ফার্স্ট' প্রকাশিত হয়। একই বছরের ১৯ নভেম্বর তার গান 'আস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছি' প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালের মার্চ মাসে ওয়াং সু লুং নতুন সঙ্গীত কোম্পানী মেইমিয়াও-র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। একই বছরের অগাস্ট মাসে তার দ্বিতীয় অ্যালবাম 'অভিকর্ষ' বাজারে আসে। এই অ্যালবামের অন্যতম গান 'কিছুটা মিষ্টি' ওয়াং সু লুংকে চীনের তাইওয়ান প্রদেশের সঙ্গীতবাজারে পাকাপোক্ত আসন এনে দেয়।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ওয়াং সু লুং চীনে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমান অ্যালবাম বিক্রি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। একই বছরের নভেম্বর মাসে ওয়াং সু লুং তার বন্ধু বিওয়েটু-এর সঙ্গে চীনের উ হান, ও কুয়াং চৌ শহরে সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওয়াং সু লুং চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি'র নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে গান পরিবেশন করেন।
২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে ওয়াং সু লুং তাইওয়ান প্রদেশে তাঁর ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল ওয়াং সু লুং মেইমিয়াও সঙ্গীত কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি শেষ করে নিজেই তাসিয়াং নামক সঙ্গীত কোম্পানী স্থাপন করেন।
২০১৪ সালের ২৫ জুন ওয়াং সু লুং নতুন অ্যালবাম 'মহান সঙ্গীত' প্রকাশ করেন। পুরো অ্যালবামজুড়ে ছিল ক্লাসিক্যাল মিউজিক।
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ওয়াং সু লুং-এর চতুর্থ অ্যালবাম 'অবতরণের পরিকল্পনা' রিলিজ হয়। এই অ্যালবাম ১১টি সঙ্গীত পুরস্কার অর্জন করে।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ওয়াং সু লুং-এর আত্মজীবনী 'এই বিশ্বকে আমি বুঝতে পারি না' প্রকাশিত হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তার 'অবতরণ' নামক সঙ্গীতানুষ্ঠান বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ওয়াং সু লুং -এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)