প্রিয় বন্ধুরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে 'বাংলাদেশ-চীন যুব ক্যাম্প ২০১৯' ২৫ অগাস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের ইয়ুননান প্রদেশে আয়োজিত হয়। বাংলাদেশের ১৫০ জন তরুণ-তরুণী এতে অংশ নেন। তারা ইয়ুননান প্রদেশ সফর করেন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় করেন।
বন্ধুরা, আমি সিআরআই থেকে তাদের সাথে সাক্ষাত্ করি এবং তাদের নিয়ে খবর, প্রতিবেদন লিখি। তাদের কিছু গল্প আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। চলুন, আমরাও একসাথে এবারের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের যাত্রায় অংশ নেই, কেমন?
টুটুল: আচ্ছা, বন্ধুরা, আমরা এখন তাদের সাক্ষাত্কার শুনবো, কেমন?
সাক্ষাত্কার
আকাশ: বন্ধুরা, তরুণ-তরুণীরা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত। আমরা আশা করি যুব ক্যাম্প এ ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মধ্যমে আমাদের চীন ও বাংলাদেশের জনগণ পরস্পরকে আরো বেশি জানতে পারবে, বুঝতে পারবে, এবং বন্ধুত্ব আরো উন্নয়ন করবে। আমরা আগামী অনুষ্ঠানে অব্যাহতভাবে এবারের ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট ধারাবাহিক সাক্ষাত্কার বা তথ্য আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করবো, কেমন?
টুটুল ভাই, এখন আমাদের ভাই-বোনের কাছে যুব সময়ের সাথে সম্পর্কিত একটি গান শেয়ার করবো। গানটি তোমার প্রিয় একজন মানুষের সঙ্গেও সম্পর্কিত।
টুটুল: আশিন নাকি ভাই?
আকাশ: অবশ্যই ভাই।
টুটুল: বন্ধুরা, আশিন হচ্ছেন চীনের তাইওয়ানের একজন জিমনেস্টিক্স খেলোয়াড়। তারপর তিনি একটি জিমনেস্টিক্স কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তার অধ্যবসায় এবং আগ্রহের কারণে আমি তাকে ভীষণ পছন্দ করি।
আকাশ: হ্যাঁ, বন্ধুরা, গানটির নাম হচ্ছে 'জাম্প'।
টুটুল: গানের কথা প্রায় এরকম,
হ্যান্ডস্ট্যান্ড করে বিশ্বকে দেখি, যাতে চোখের পানি না ঝরে
পৃথিবী আকাশ হয়ে যায়,
পৃথিবী উল্টো হয়ে যায়,
কিন্তু আসলে বিশ্ব পরিবর্তন হয়নি।
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি
দিগন্ত বরাবর
সব প্রচেষ্টায় সামনে এগিয়ে যাও
এই পৃথিবীতে কোন্ জিনিস থাকতে পারে?
প্রচেষ্টার ঘামের পানি এবং পরিশ্রম
এখন কি এটার কোনো পরিবর্তন আছে?
আমি আমার স্বপ্নের পিছনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,
দিগন্ত বরাবর
সব প্রচেষ্টায় অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে যাও
জাম্প
সুন্দর ঘূর্ণায়মান বিশ্ব
জোর দিয়ে জাম্প
যাই ঘটুক না কেন
জাম্প
উষ্ণ রক্ত ব্যবহার করে নীল আকাশে উড়তে
জাম্প
তারপর আমরা পৃথিবীকে আকাশে পরিবর্তন করতে পারবো।