১. উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার কার্যক্রমের ফলে, বিগত সাত দশকে চীনের পণ্য-বাণিজ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ১৯৫০ সালে চীনের পণ্যবাণিজ্যের আকার ছিল মাত্র ১.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আর ২০১৮ সালে দেশটির পণ্যবাণিজ্যের আকার বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। সম্প্রতি চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৫০ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে চীনে পণ্যবাণিজ্যে বার্ষিক গড়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১০ শতাংশের কম। তখন চীনের অর্থনীতি ছিল পরিকল্পিত। কিন্তু ১৯৭৮ সালে চীন উন্মুক্তকরণনীতি গ্রহণের পর থেকে বার্ষিক গড়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪.৫ শতাংশ করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭৮ সালে চীনের পণ্যবাণিজ্য ছিল বিশ্বের মোট পণ্যবাণিজ্যের মাত্র ০.৮ শতাংশ। আর ২০১৮ সালে চীনের পণ্যবাণিজ্য বিশ্বের মোট পণ্যবাণিজ্যের ১১.৮ শতাংশে দাঁড়ায়। এই ধারাবাহিকতায় চীন পণ্যবাণিজ্যে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে এক নম্বর স্থানটি দখল করে। বিগত ২৭ বছর ধরে চীন বিশ্বের শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণকারী দেশ হিসেবেও স্বীকৃত।
২. চীনা রফতানিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবার পর, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বেইজিংয়। গত রোববার থেকে চীনের ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ওসাকায় চীন-মার্কিন শীর্ষ নেতাদ্বয়ের বৈঠকে পৌঁছানো মতৈক্যের গুরুতর লঙ্ঘন। চীন এর জন্য তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং এর দৃঢ় বিরোধিতা করে। চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী দৃঢ়ভাবে নিজের বৈধ স্বার্থকে রক্ষা করবে এবং দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শৃঙ্খলাকে রক্ষা করে যাবে।
৩. চীনের অর্থবাজার সংস্কার-কার্যক্রমকে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের অর্থ স্থিতিশীল উন্নয়ন কমিশন। আর এর লক্ষ্য হচ্ছে, চীনের অর্থনীতির উচ্চমানের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
চীনের অর্থ স্থিতিশীল উন্নয়ন কমিশন বলেছে, চীনের অর্থবাজারে বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুঁজি বিনিয়োগকে উত্সাহ দিতে হবে, আরও বেশি অর্থ বাজারে প্রবেশের জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, এবং অর্থবাজারকে চীনের অর্থনীতির উচ্চমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
৪. সম্প্রতি চীনের সিছুয়ান প্রদেশের কুয়াংইউয়ান শহরে অনুষ্ঠিত হয় 'শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসম্মেলন'। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের দারিদ্র্যবিমোচন উন্নয়ন নেতৃত্ব গ্রুপের প্রধান হু ছুন হুয়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে তিনি বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন সম্বন্ধে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর ধারণা এবং সিপিসি ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী, দরিদ্র অঞ্চলগুলোকে শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে।
হু ছুন হুয়া বলেন, নতুন নতুন শিল্পের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে দারিদ্র্যমুক্তির প্রধান উপায়। বৈশিষ্ট্যময় ও শ্রেষ্ঠ মানের গ্রামীণ শিল্প উন্নয়ন করতে হবে, বিভিন্ন জায়গার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আধুনিক কৃষিশিল্প উন্নয়ন করতে হবে, এবং জেলা পর্যায়ে অর্থনীতির উন্নয়ন-প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সহায়কনীতিমালা গ্রহণ করতে হবে, দরিদ্র এলাকার ব্যবসা-পরিবেশ উন্নত করতে হবে, শিল্পের অবকাঠামো উন্নত করতে হবে, এবং দরিদ্র জেলার শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ-কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
৫. চীনে নতুন করে ৬টি অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা স্থাপন করা হবে। সম্প্রতি চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়। এ ৬টি অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা চীনের শানতুং, চিয়াংসু, কুয়াংসি, হ্যপেই, ইয়ুননান ও হেইলুংচিয়াং প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি চীনের শাংহাই অবাধ বাণিজ্য এলাকার 'লিন কাং' পরীক্ষামূলক এলাকা চিহ্নিত হওয়ার পর, এই ক্ষেত্রে চীনের আরেকটি বড় পদক্ষেপ এটি। চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনাবিষয়ক উপ-প্রতিনিধি ওয়াং শৌওয়েন বলেছেন, নতুন অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকাগুলোতে আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্কারকাজ চালানো হবে। এর মধ্য দিয়ে চীন আরও উন্মুক্ত হবে।
৬. অষ্টম চীন-রাশিয়া অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক সম্প্রতি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় অনুষ্ঠিত হয়। চীনের অর্থমন্ত্রী লিউ খুন এবং রুশ প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ যৌথভাবে এতে সভাপতিত্ব করেন। চীনের উপ-অর্থমন্ত্রী চৌ চিয়া ই, রাশিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত চাং হান হুই, রুশ উপ-অর্থমন্ত্রী সার্গেই স্টোর্চাকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও এতে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে লি খুন বলেন, চলতি বছর চীন-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী। এবারের বৈঠক গত জুন মাসে দু'দেশের প্রেসিডেন্টদ্বয়ের মতৈক্য বাস্তবায়নের জন্য অনুকূল এবং চীন-রাশিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। দু'দেশের অর্থবিভাগের উচিত বিভিন্ন আর্থিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
রুশ প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ বলেন, রাশিয়া-চীন সম্পর্ক খুবই মজবুত। গেল ২০১৮ সালে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। দু'দেশের সহযোগিতা নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এবারের বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি, সামষ্টিক আর্থিক নীতি ও বিভিন্ন স্তরের বাজেট ও অডিটবিষয়ক সহযোগিতা জোরদার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
৭. বোআও এশীয় ফোরাম (বিএফএ)'র মহাসচিব লি পাও তোং সম্প্রতি বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, 'প্রথম বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ফোরাম' ২০২০ সালে চীনে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, অর্থনীতির উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে বিশেষ করে ফোরামের প্লাটফর্ম স্থাপন করা আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটাই প্রথম। 'অভিন্ন কার্যক্রম ও অভিন্ন সমৃদ্ধি' শিরোনামে এই ফোরামের আওতায় বিশ্বে নিরাপত্তা-সহযোগিতার নতুন কাঠামো স্থাপন করা হবে, যাতে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পরিবেশ সুরক্ষা করা যায়।
লি পাও তোং আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বের অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে নিরাপত্তা-সমস্যার সম্পর্ক দিন দিন ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। তাই এখন এটা গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়। নতুন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও উন্নয়নের চাহিদা মোকাবিলা করতে এই ফোরাম বৈশ্বিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
৮. চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি করবে ইসরাইল। চীনা গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেএসি মোটরস্ ও ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক ভিহিকল সুইডেন (এনইভিএস)-এর কাছ থেকে একটি নয়া ইসরাইলি গাড়ি ডিলার বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি করবে। এনইভিএস-এর মালিকানা মূলত চীন।
এদিকে, জার্মান গাড়িনির্মাতা কোম্পানি ভোক্সওয়াগন গত এপ্রিলে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ খাতে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। জেএসি মোটরস্-এর সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্পে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে।
৯. সার্বিয়া এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)-র অ-আঞ্চলিক সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ব্যাংকের সদস্য হিসেবে যোগ দিতে প্রয়োজনীয় সকল শর্ত পূরণ করেছে সার্বিয়া। ২০১৬ সালে চীনের উদ্যোগে এআইআইবি যাত্রা শুরু করে। এর প্রতিষ্ঠাতাসদস্যের সংখ্যা ৫৭। বাংলাদেশও এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসদস্য।
১০. ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপাত্ত অনুসারে, ২০১৮ সাল থেকেই ভারতের অর্থনীতির উন্নয়নের গতি ধীর হতে শুরু করে। যেখানে ২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতিতে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল, সেখানে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে এসে তা কমে দাঁড়ায় ৫.৮ শতাংশে। এই প্রবৃদ্ধি বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এর জন্য খানিকটা দায়ী হলেও, অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত সমস্যা ভারতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা।
ভারতীয় জিডিপিতে কৃষিশিল্পের অবদান ১৭.৩ শতাংশ। গেল বছর থেকে কৃষিপণ্যের দাম টানা কমছে এবং কৃষকদের আয় কমে যাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে ভোগ কমেছে, যা সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের নির্মাণশিল্পের উন্নয়নেও ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়। এতে একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা-ক্ষমতা কমেছে এবং অন্যদিকে দেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি যথেষ্ট উন্নত হতে পারছে না।
১১. গেল অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৫.৪৯ শতাংশ হয়। জুলাই মাসে এই হার ছিল ৫.৬২ শতাংশ। সম্প্রতি ঢাকার শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক বৈঠকশেষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এই তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, অগাস্টে ঈদুল আজহাশেষে বাজারে ক্রেতাদের চাপ কম ছিল। তা ছাড়া, বৃষ্টিও কমে হয়েছে এবং যোগাযোগ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এজন্য মূল্যস্ফীতির চাপ আগের মাসের চেয়ে কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে।
হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, অগাস্টে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৫.২৭ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৫.৪২ শতাংশ। অগাস্টে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৫.৮২ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ছিল ৫.৯৪ শতাংশ।
এদিকে, অগাস্টে দেশের গ্রামীণ এলাকার মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৫.৩৪ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ছিল ৫.৪৯ শতাংশ। এ সময় গ্রামীণ পর্যায়ে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৫.৬০ শতাংশ হতে কমে ৫.৩৮ শতাংশ হয়। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৫.২৭ শতাংশ হতে কমে ৫.২৫ শতাংশ হয়।
অন্যদিকে, আগস্টে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৫.৭৫, যা জুলাই মাসে ছিল ৫.৮৮। এ সময় শহরাঞ্চলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৫.০৩ হতে কমে ৫.০২ হয়। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৬.৮৪ হতে কমে ৬.৬০ হয়।
(আলিমুল হক)