হংকংয়ের কুয়াংসি সমাজ সমিতির উপপ্রধান ভিক্টর চান বলেন, চরমপন্থি বিক্ষোভকারীদের অব্যাহত সহিংসতা হংকংয়ের বাসিন্দাদের জীবনের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন,
'সম্প্রতি হংকংয়ে সামাজিক সহিংসতা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। আহতদের সংখ্যা, সহিংসতার মাত্রা এবং সমাজের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবও বাড়ছে। অবশ্য, সহিংসতার বিরুদ্ধে হংকংয়ের মানুষের অবস্থানও দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হচ্ছে।'
চীনের মূল ভূভাগে নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন হংকংয়ের তরুণ ওয়েসলি লিউং। তিনি নিজের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও মিডিয়ার কাছ থেকে ৩১ অগাস্টের সহিংসতার কথা জানেন। সিআরআই সাংবাদিককে তিনি বলেন, হংকংয়ে চলমান ঘটনা শুনে এবং দেখে তিনি দারুণ বিষণ্ণ বোধ করছেন। হংকংয়ের পুলিশ কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সামাজিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করবে বলে তিনি আশা করেন। হংকং এবং চীনের মূল ভুভাগ একযোগে অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন,
'আমি মিডিয়া, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ৩১ অগাস্টে হংকংয়ে ঘটা সব ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। আমি পুলিশকে সমর্থন করি। সহজেই সবকিছু নষ্ট করা যায়, তবে নির্মাণ করতে অনেক সময় লাগে। চীনের মূল ভূভাগ এবং হংকং সহযোগিতা করে অভিন্ন উন্নয়ন করবে বলে আমি আশা করি।'
হংকং চীনা আমদানি ও রফতানি চেম্বার অফ কমার্সের মহাপরিচালক লাম লুং অন বলেন, হংকং বরাবরই শ্রেষ্ঠ ব্যবসা-পরিবেশের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। হংকং গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও উন্মুক্ত একটি সমাজও বটে। তবে চরমপন্থি বিক্ষোভকারীদের সশস্ত্র আচরণ হংকংয়ের সামাজিক শৃঙ্খলা, ব্যবসার পরিবেশ ও আইনগত ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি করছে। হংকং সমাজের বিভিন্ন মহলের প্রতি একযোগে সহিংসতা প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন,
'আমি আশা করি, আরো বেশি নীরব হংকংবাসী নিজেদের মতামত প্রকাশ করবেন; আইন-বিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। আমাদের উচিত হংকংয়ের সামাজিক শৃঙ্খলা ও আইনগত ব্যবস্থা সুরক্ষা করা।'
হংকংয়ের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক উপ-প্রধান কু মিনখাং মনে করেন, হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের উচিত সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। তিনি বলেন,
'পুলিশের উচিত আইন অনুসারে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করা। পুলিশ কঠোর হলে চরমপন্থিরা ভয় পাবে বলে আশা করা যায়।'
ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স ফর দা বেটারমেন্ট অ্যান্ড প্রোগ্রেস অব হংকং-এর ভাইস চেয়ারম্যান ছান ইয়ুং বলেন, হংকং হলো সকল হংকংবাসীর আবাসস্থল। এখানকার সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার অধিকার কারুর নেই। হংকংয়ে যত দ্রুত সম্ভব সহিংসতা বন্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
(লিলি/আলিম)